চাঁদপুর শহরের ৫নং কয়লাঘাট এলাকায় কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিশোরীর মা শহরের ১৪ নং কোয়ার্টার এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা মৃতঃ হারুনের স্ত্রী তফুরা বেগম বাদী হয়ে কয়ালাঘাট এলাকার হাবিব মিজি, ইউসুফ মিজি ও আবুল মিজিকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তফুরা বেগম চাঁদপুর শহরের কালী বাড়িতে অবস্থিত একটি হোটেলে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কয়লাঘাটে আবুল মিজির বাসায় ভাড়া থাকতেন। তফুরা বেগম কাজে চলে আসার পর হাবিব মিজি কিশোরী মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াসহ কুপ্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে একা ঘরে পেয়ে হাবিব মিজি জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
বিষয়টি কাউকে জানালে কিশোরী ও তার মায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে চাঁদপুর থেকে তাড়িয়ে দেয়াসহ এসিড মেরে মুখ ঝলসে দিবে, এমনকি মেরে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
কিছুদিন পর কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি হাবিব মিজিকে জানায়। হাবিব মিজির পিতা ইউসুফ মিজি ও চাচা আবুল মিজি মিলে কিশোরী ও তার মা তফুরা বেগমকে আবুল মিজির ভাড়া বাসা থেকে বের করে দেয়। হাবিব মিজি কৌশল করে কিশোরীকে বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ খাইয়ে দেয়।
এতে তার ব্যথা উঠলে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এ নিয়ে এলাকার গণ্যমান্যদের জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। উপায়ন্তর না পেয়ে কিশোরীর মা তফুরা বেগম চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্টাফ রিপোর্টার