বাজারে মা ইলিশই বিক্রি হচ্ছে !

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠে জেলেরা আবারও জাল নিয়ে নদী যাচ্ছে। ধরছে ইলিশ সহ যাবতীয় মাছ। ইলিশ রক্ষা অভিযানে শুধু ইলিশ শিকারী জেলেরাই নয় বরং সকল পর্যায়ের জেলেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মাছ ধরতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেছে।

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবার মাছ শিকারে যাচ্ছে তারা। তাবে নদীতে মাছের আধিক্য কম থাকার কারণে কিছুটা বেকায়দায় রয়েছে জেলেরা।

চাঁদপুর মাছ ঘাটে যে ইলিশ আসছে অনেকেরই অভিযোগ এই ইলিশ অভিযানের সময় ধরা হয়েছে। অধিকাংশই ডিমওয়ালা ইলিশ আসছে মাছ ঘাটে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অসংখ্য ব্যবসায়ী ইলিশ গোপনে ইলিশ সংরক্ষণ করেছেন যে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমরা বলেছিলাম অভিযানের পরেও যেন মা ইলিশ বাজারে নিষিদ্ধ করা হয়। কারণ নিষেধাজ্ঞার সময় মা ইলিশ নিধন করে তা সংরক্ষন করেছে অনেক ব্যবসায়ী। যা নিষেধাজ্ঞা পার হওয়ার পর বাজারে ইলিশে সয়লাব হয়েছে।

চাঁদপুরের ইলিশের আড়তে সরব অবস্থা দেখা গেলেও এর আড়ালে রয়েছে সেই মা ইলিশ যা নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা ধরেছিল। কিন্তু এসবের কোন তদারকি না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা মা ইলিশের রমরমা বানিজ্য করে যাচ্ছে। কিন্তু ইলিশ নিধনে খেসারত দিতে হয়েছে সেই প্রান্তিক জেলেদেরকেই। অথচ এসব ব্যবসায়ীরা যদি নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ সংরক্ষণ না করতো তাহলে হয়তো জেলেরা এভাবে ইলিশ নিধনে মরিয়া হয়ে উঠতো না।

আমরা মনেকরি মা ইলিশ ধরা সব সময় নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা উচিৎ। কারণ মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলেই ইলিশ প্রজনন সাভাবিক হবে। আর এতে ইলিশের বিস্তার অস্বাভাবিক হয়ে উঠবে। যা শুধু জেলেদেরই কল্যাণ নয় বরং দেশ ও জাতির কল্যাণে ইলিশের প্রভাব আরো প্রকোট হয়ে উঠবে। তাই এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *