বন্ধ হচ্ছে মিনিকেট নামের চাল বিক্রি

 

স্টাফ রিপোর্টার

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, মিনিকেট নামে কোনো চাল বিক্রি করা যাবে না। রাইস মিলে চাল বস্তাজাত করার সময় তাতে জাতের নাম লিখে দিতে হবে। কেউ যদি তা না করে সেক্ষেত্রে

আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, সম্প্রসারণ বিভাগ কয়েক দিন আগে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার দিয়েছে। বুধবার দুপুরে গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সদর দফতরে কৃষি বিজ্ঞানী, কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এবং

প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গবেষকদের উদ্ভাবিত জাতগুলো যদি বিভিন্ন বিভাগের সাথে আরো সুন্দরভাবে কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে দ্রুত কৃষকদের পৌঁছে দিতে পারি তবে আমাদের ফলন আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে

দ্বিগুণের কাছে চলে যাবে। এছাড়া কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা এবং মাঠ পর্যায়ে উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

এ সময় তিনি উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণ এবং অংশীজনদের সাথে যোগাযোগ বাড়ানোর তাগিদ দেন।

কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, তথ্য ও সস্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব

মো. মকবুল হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অবসর প্রাপ্ত সচিব কামরুননাহার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান, ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সম্মানিত মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।

এর আগে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অন্যান্য সচিবদের সঙ্গে নিয়ে রাইস মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন। পরে তিনি ব্রি’র উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, হাইব্রিড রাইস বিভাগ, কৌলি সম্পদ ও বীজ

বিভাগ, জীব প্রযুক্তি বিভাগ, শস্যমান ও পুষ্টি বিভাগ, রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগ, খামার যন্ত্রপাতি ও ফলনোত্তর প্রযুক্তি বিভাগ, কৃষি অর্থনীতি বিভাগ, কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগ, খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ফলিত গবেষণা বিভাগ, কীটতত্ত্ব বিভাগ, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব বিভাগ, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ ও সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্টল পরিদর্শন করেন এবং বিভাগগুলোর কার্যক্রম ও

ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা স্ব-স্ব বিভাগের বিস্তারিত কার্যক্রম মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অবহিত করেন। এর পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব ব্রি’র গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে

অবহিত হন।

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও অন্যান্য বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনারবৃন্দ, বাংলদেশ টেলিভিশনের

মহাপরিচালক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার মহাপরিচালক ও পরিচালকবৃন্দ, প্রকল্প পরিচালক এটুআই, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, পরিচালক কৃষি তথ্য সার্ভিস ও ডিএই’র সকল অঞ্চলের

অতিরিক্ত পরিচালকগণ, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ব্রি’র বিভাগীয় প্রধানগণ এবং অন্যান্য বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *