মুন্সীগঞ্জে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য

মুন্সীগঞ্জে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য
মুন্সীগঞ্জে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য

চাঁদপুর সময় রিপোট-মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার খাসনগর গ্রামে শিশুসন্তানকে জিম্মি করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য মো. আফজাল হোসেন এবং তার সহযোগী নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। অভিযুক্ত মো. আফজাল হোসেন উপজেলার বালুচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ১ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে খাসনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শ্রীরামপুর গ্রামে তাবিজ-কবচ ও ঝাড়ফুঁকের ভয় দেখিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইমামের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই নারী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গতকাল তিনি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ শ্রীরামপুর গ্রামের আবুল ওলাইয়া খানকা শরিফের তত্ত্বাবধায়ক ও ইমাম সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করেছে।

সিরাজদীখান থানার ওসি এসএম জালালউদ্দিন জানান, ১ জানুয়ারি রাতে গৃহবধূর বসতঘরে প্রবেশ করেন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন এবং তার সহযোগী নাসিরউদ্দিন। এ সময় তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। গৃহবধূ তার দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে ঘরে ছিলেন। ঘরে ঢুকে ৬ মাসের শিশুসন্তানকে জিম্মি করেন নাসির। আর গৃহবধূকে ধর্ষণ করে চলে যান আফজাল হোসেন।

তবে ধর্ষণের ঘটনাটি সাজানো আখ্যা দিয়ে সেটি প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার রাজনগর গ্রামে মানববন্ধন করা হয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বালুচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলেকচান মুন্সী, মহিলা ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার সাফিয়া, আব্দুল হান্নান মাদবর, ইউপি সদস্য মো. মোতালেব প্রমুখ। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত আফজাল হোসেন বলেন, ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো। আমার প্রতিপক্ষ ওই নারীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে।

এদিকে নবীনগর সূত্র জানায়, উপজেলার শ্রীরামপুর পূর্বপাড়ার আবুল ওলাইয়া খানকা শরিফের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে মাওলানা সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ইমামতির পাশাপাশি এলাকায় বিভিন্ন রোগের তাবিজ-কবচ ও ঝাড়ফুঁক দিয়ে আসছিলেন। পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী তার সন্তানের বিছানায় প্রসাব বন্ধ করার তদবির করতে গত ১২ অক্টোবর ওই ইমামের কাছে তাবিজ আনতে যান। ইমাম তাবিজ-কবচের কথা বলে খানকা শরিফের তৃতীয় তলায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।

এতদিন ওই নারী ইমামের তাবিজ-কবচ ও ঝাড়ফুঁকের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাননি। দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেন। এতে সুরহা না হলে ওই নারী থানার মামলা করেন। ওসি আমিনুর রশিদ বলেন, থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *