কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল প্রবাসীদের ঘামে অর্জিত আমাদের রেমিট্যান্স। আইনি জটিলতার কারণে অনেকে হুন্ডির আশ্রয় নেন বলে জানা যায় প্রবাসীদের কাছ থেকে। কিন্তু সবাই বলেন ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি করতে হলে হুন্ডি প্রতিরোধ করতে হবে। এ জন্য বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আনার খরচ কমাতে হবে। রেমিট্যান্সের প্রণোদনার ব্যবস্থাটি চলমান রাখতে হবে। মনিটর আরও জোরদার করতে হবে। শাস্তির বিধানগুলো কার্যকর করতে হবে। রেমিট্যান্সের টাকা যাতে গ্রাহক দ্রুত পেতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ মানুষ হুন্ডিতে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে টাকা দ্রুত পাওয়া। যে কোনো অঞ্চল থেকে মানুষ দ্রুত হুন্ডিতে টাকা পায় বলেই এটি জনপ্রিয় হয়েছে। ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে ব্যাংকগুলোয় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ব্যাংক খাতে রিফর্ম করা উচিত। ব্যাংকগুলোয় যোগসাজশে বা মিলেমিশে দুর্নীতি ও অনিয়মের নজির দেখা যাচ্ছে। তাদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ব্যাংকের গ্রাহকসেবা বৃদ্ধি করতে হবে। তা হলে ব্যাংকের প্রতি মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠবে। সেবাগুলোকে সাশ্রয়ী করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের একটা সুযোগ দিলে হয়তো কালোটাকাগুলো বিনিয়োগে ফিরে আসবে।
প্রবাসীরা অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠালে দেশে তাদের স্বজনরা আইনের আওতায় আসতে পারেন তা গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। যারা বিদেশ থেকে অবৈধ পথে টাকা পাঠাচ্ছেন এবং দেশ থেকে সে টাকা গ্রহণ করছেন, তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মনিটর করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এর পাশাপাশি প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা পেতে আত্মীয়স্বজন যেন হয়রানির শিকার না হন, ব্যাংকের মাধ্যমে যেন তারা টাকাটা তাড়াতাড়ি পেতে পারেনÑ এর ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলেই দেশে রেমিট্যান্সের গতি বাড়বে এবং হুন্ডি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তাই এ ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়া অপরিহার্য।