হাজীগঞ্জে দালাল ছাড়া মিলছে না রেলের টিকিট

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ রেলস্টেশনে ‘দালাল’ ছাড়া ট্রেনের টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। এতে নির্ধারিত মূল্যে স্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে না পেরে বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে ‘দালালের’ কাছ থেকে টিকিট কিনছেন। যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে এসব অনিয়ম প্রকাশ্যে ঘটলেও সমাধানের নেই উদ্যোগ।

জানা গেছে, নানা প্রয়োজনে প্রতিদিন হাজীগঞ্জ থেকে ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে ভ্রমণ করে শত শত মানুষ। বাস, লঞ্চসহ বিকল্প যানবাহনের চেয়ে কম খরচে নিরাপদ গন্তব্য যেতে ট্রেনই এখানকার মানুষের প্রথম আগ্রহ। কিন্তু এই রেলস্টেশন থেকে যাত্রায় নিত্যদিনের দুর্ভোগের এক নাম ‘দালালচক্র’। প্রতিদিন টিকিটের জন্য লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ অধিকাংশ যাত্রীর।

কয়েক দিনে হাজীগঞ্জ রেলস্টেশনে সরেজমিন দেখা গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। কিন্তু স্টেশনের আশপাশে কয়েকজন ‘দালাল’ বিক্রির জন্য টিকিট নিয়ে ঘুরছেন। হাজীগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ‘দালালের’ মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহের বিষয়টিকে লজ্জার বলে মনে করেন যাত্রীরা।

কচুয়া উপজেলা থেকে আসা যাত্রী শরিফ ও রাসেল, ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা রাকিব ও মনির এবং হাজীগঞ্জের ইসমাইল হোসেন নামের যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, সাগরিকা ট্রেনের টিকিটের জন্য ৩০ জনের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু ১০ জনকে দেওয়ার পর বুকিং মাস্টার হানিফ বলছেন টিকিট নেই। এরপর এখানকার কয়েকজন ‘দালালের’ কাছ থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য ৭৫ টাকার টিকিট সংগ্রহ করতে হয়েছে ১৬০ টাকায়। বাড়তি দামে টিকিট বিক্রির জন্য এই চক্র আগে থেকেই কাউন্টারের বুকিং মাস্টারের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাঁদের দখলে টিকিট নিয়ে রাখেন।

হাজীগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন বলেন, এ স্টেশনে প্রতিদিন ৪০টি টিকিট বরাদ্দ থাকে। কীভাবে দালাল চক্রের হাতে টিকিট পৌঁছায় লিখিত অভিযোগ পেলে তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারি মেঘনা ট্রেনের সহকারী রেলমাস্টার সুজাউদ্দিন বলেন, ‘সাগরিকা ট্রেন কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে হওয়ায় এসএ ট্রেডার্সের অধীনে বর্তমানে ১৮টি ট্রেন চলাচল করছে। তাদের কাউন্টার বাইরে এবং তাদের বুকিং মাস্টারও আলাদা। আমাদের এখানে যাত্রীর তুলনায় টিকিটের সংখ্যা কম। অনেক সময় আগে থেকে অনেকেই বিভিন্নভাবে টিকিট সংগ্রহ করে রাখেন। যে কারণে বিশেষ বিশেষ দিনে যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকিট না পেয়ে অভিযোগ করছেন।’

হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *