কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল:
আবারো একটি বড়ো দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো চাঁদপুরবাসী। চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ইমাম হাসান লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনার শঙ্কা হয়েছিল। যাত্রীদের ভূমিকায় এযাত্রা রক্ষা পেলেও লঞ্চ চালকদের লোভী মনোভাবের কারণে প্রতিনিয়ত মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে যে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ এভাবে ওভার যাত্রী উত্তোলনের জন্য লঞ্চ মাকিলদের নির্দেশ থাকার কথা নয়। যেহেতু মালিক পক্ষ লঞ্চে অবস্থান করেন না। তবে লঞ্চ টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারেন না। কারণ তাদের নাকের ডগার উপরই একটি লঞ্চ যাত্রী উঠায়। শুধু তাহাই নয় লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার আগে বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করবেন এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবে তার ধারেকাছেও নেই। যে যার মতোকরে লঞ্চে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে আবার যে যার মতোকরে ঘাটে ভীড়ছে। ঘাটে আসা লঞ্চটিকে চেক করারও কোন ব্যবস্থা নেই কোন লঞ্চ ঘাটে। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানে শুধু নিজেদের চেয়ারটাকে ঠিক রাখতে।
এ কর্ম তাদেরকে খুব ভালোভাবেই করতে দেখা যায়। অথচ সরকার তাদেরকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা শিকেয় তুলে রাখছে যেন। কোন দুর্ঘটনা ঘটলেই সেটাকে নামিয়ে সান দেওয়া হয়।
এমন যখন অবস্থা তখন এভাবে লঞ্চ দুর্ঘটনার শিক্ষার হওয়াটাই সাভাবিক। আইন নিজের হাতে তুলে না নিলেও যাত্রীদেরকে অবশ্যই ন্যায্য অধিকারের জন্য আইন হাতে তুলতে হবে। হাজারো মানুষের জীবন বিপন্ন না হওয়ার স্বার্থে রাষ্ট্র কিন্তু জনগণের হাতেই আইন তুলে দিয়েছেন। আমরা দেখেছি লঞ্চঘাটে লেখা রয়েছে ‘অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে উঠবেন না’। তার মানে হলো যাত্রীদেরও এসব বিষয়গুলো ভালো করে পালন করতে হবে। তবেই কেবল অযাচিত জীবন বিপন্ন হওয়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি লঞ্চ মালিকগণ এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সকল পক্ষকে আন্তরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।