চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান ও আরেক প্রযোজক মিলে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন, ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের প্রযোজক সমিতির সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে! প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় প্রযোজক পরিবেশক সমিতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা স্পষ্টভাবেই জানালেন, শাকিব খান নিয়ে এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি। তাঁর সদস্যপদ বাতিলের তো প্রশ্নই আসে না। কে বা কারা এমন মিথ্যাচার করছে! এই ধরনের মিথ্যাচার করাটা তো মোটেও ঠিক হয়নি।
প্রযোজক পরিবেশক সমিতির ব্যবস্থাপক সৌমেন্দ্র রায় প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমরা তো জানি, শাকিব খান এখন দেশের বাইরে আছেন। এদিকে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন শিগগিরই শুরু হচ্ছে। নির্বাচনের আগে প্রাথমিক ভোটার তালিকা বাছাই করতে গিয়ে সব সদস্যের হালনাগাদ কাগজপত্র চেক করছিলাম। চেক করতে গিয়ে দেখলাম, শাকিব খান সাহেবের কাগজপত্র হালনাগাদ করা নেই। তিনি যেহেতু দেশের বাইরে আছেন, তাই হয়তো এমনটা হয়েছে। তবে সমিতির যত ধরনের চাঁদা আছে, সব পরিশোধ করা আছে। এখন শুধু আয়করের হালনাগাদ কাগজপত্র নির্বাচনের জন্য গঠিত আপিল বোর্ডের কাছে জমা দিলেই চলবে। শাকিব খানের সদস্যপদ বাতিলের যে খবর ছড়ানো হচ্ছে, তা পুরোপুরি মিথ্যাচার।’
সৌমেন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘আমরা শুধু এখন প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছি। এই তালিকাও আরও যাছাই–বাছাই করা হবে। এরপর ৩১ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। শাকিব খান সাহেব দেশের বাইরে থাকায় হয়তো তাঁর আয়করের হালনাগাদ কাগজপত্র আমরা এখনো পাইনি। এটা কোনো ইস্যুই নয়। আপিল বোর্ডের কাছে জমা দিলেই ভোটার তালিকায় আবার নাম উঠে যাবে। কিন্তু এটা নিয়ে কারও ইস্যু করা বা সদস্যপদ বাতিলের মিথ্যাচার করাটা তো মোটেও ঠিক নয়।’
কাগজপত্র হালনাগাদ করার ব্যাপারে আপনারা কি শাকিব খান বরাবর কোনো নোটিশ ইস্যু করেছেন? এমন প্রশ্নে সৌমেন্দ্র রায় বললেন, ‘কদিন আগে একটা নোটিশ পাঠিয়েছিলাম।’ শাকিব খান এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। ঢাকায় তাঁর পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপক মনির হোসেন বলেন, ‘প্রযোজক পরিবেশক সমিতির কাছ থেকে আমরা কোনো ধরনের নোটিশ পাইনি। আমাদের পক্ষ থেকে কিন্তু সমিতির চাঁদাও নিয়মিত পরিশোধ করা হয়। আয়করের কাগজপত্রের বিষয়টা জানানো হলে তো সেটাও দিয়ে দিতাম। কিন্তু এসব নিয়ে তৃতীয় পক্ষের কারও তো কথা বলার রাইট নেই। এই রকম মিথ্যাচার করার তারা কারা!’