শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া কেউ নৌযান চালক হতে পারবেন না

নৌপরিবহন অধিদপ্তর ঢাকার মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন বলেছেন, চাঁদপুর নৌ সীমানা দেশ ও বিদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রুটে ঝুঁকিও রয়েছে অনেক।

চাঁদপুর বন্দর ও মেঘনা উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় এখানকার লোকজন জন্মলগ্ন থেকেই নাবিক।তাদের সাহস অনেক বেশি। শুধুমাত্র সঠিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। দেশ এবং বিদেশে সমানভাবে দক্ষ ও শিক্ষিত নাবিকদের চাহিদা রয়েছে। তাদের পারিশ্রমিক অনেক সম্মানজনক।

১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার চাঁদপুর কোষ্টগার্ড স্টেশন কার্যালয় আয়োজিত নৌ-যানের সুকানী ও গ্রীজারদের প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা গ্রহণ অনুষ্ঠাননে প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চাঁদপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের আয়োজনে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চাঁদপুরের ১২২ জন নৌ-যান শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।

নৌপরিবহন অধিদপ্তর ঢাকার মহাপরিচালক আরো বলেন, নৌপথ নিরাপদ রাখার জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নদীতে রাতে বাল্কহেড চলতে দেওয়া হবে না। এই সিদ্ধান্তই ঠিক থাকবে এবং কোন পরিবর্তন হবে না। নৌযান সংশ্লিষ্টরা দক্ষতা অর্জন ও দায়িত্ববান হলে অব্যশই নৌদুর্ঘটনা কমে আসবে।

তিনি বলেন, নৌযান মালিকরা সব সময় কম বেতনে কাজ করার জন্য অশিক্ষিত ও অদক্ষ লোকদের নিয়ে জাহাজ পরিচালনা করছেন। ফলে নৌপথে দুর্ঘটনা বাড়ছে। আমরা এখন থেকে শিক্ষিতদের এসব প্রশিক্ষণে অগ্রাধিকার দিয়ে এগিয়ে নিয়ে আসব।

মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের সাফল্য অনেক। দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে আমরা এখন গর্ববোধ করি। সরকার শিক্ষার প্রতি অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। নৌপরিবহন ক্ষেত্রেও শিক্ষিতদের এগিয়ে আসতে হবে। আপনাদের যে কোন সমস্যা আমাদেরকে জানাবেন। আমাদের ওয়েব সাইটে অভিযোগ করার ব্যবস্থা আছে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়, আমরা সকলেই আইনের আওতায়।

তিনি বণেন, সেবা প্রদান এবং আইন প্রয়োগ করা এই ২টি কাজ আমাদের প্রাধান্য দিতে হবে। বালুবালী জাহাজগুলো নিয়ম না মেনে বানানো হয়েছিলো। যে সকল জাহাজ এখনো রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় আসেনি তাদেরকে রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় আনতে হবে। দক্ষতা ও যোগ্যতা না থাকলে কেউ নৌ পরিবহনের চালক হতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, দ্রুত আইন হচ্ছে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া কেউ নৌযান চালক হতে পারবেন না। তাছাড়া বালুবাহী বাল্কহেড রাতে চলাচল করতে পারবে না। দৃষ্টি শক্তি সমস্যা এবং রং না চিনলে কেউ এখানে চালক হতে পারবেন না। অতএব নৌযান চালক হতে প্রশিক্ষণ ও সনদ গ্রহণের বিকল্প নেই।

নৌপরিবহন অধিদপ্তর ঢাকার চীফ ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শিপ সার্ভেয়ার মোঃ মনজুরুল কবীরের সভাপতিত্বে এবং চাঁদপুরের নৌ পরিদর্শক মিলন মোল্লার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন অধিদপ্তর চাঁদপুরের ইঞ্জিনিয়ার এবং শিপ সার্ভেয়ার ও জরিপকারক এহেতাসানুল হক ফকির, কোষ্টগার্ড চাঁদপুরের ষ্টেশন কমান্ডার মাসহাদ উদ্দিন নাহিয়ান, চাঁদপুর নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন শিকদার, চাঁদপুর নৌযান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রব ভূঁইয়া, সাধারণ নাছির উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ঢাকার ডেপুটি নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, মুখ্য পরিদর্শক সফিকুর রহমান প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *