গত কয়েক দিন থেকে চাঁদপুরের নদ-নদী, খাল বিল, পুকুর-ডোবা ও জলাশয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। চাঁদপুরেও বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধির কারণে সেচ প্রকল্পের বাইরে যেসব এলাকায় ফসলি জমি রয়েছে তা এখন অধিকাংশই পানির নিচে। সেচ প্রকল্পের বাইরের এলাকাগুলোতে খাল-বিল ও পুকুর ডোবাগুলো এখন পানিতে টুইটুম্বর।
ঐসব এলাকার অধিকাংশ বাড়ির খেলার মাঠ ও আঙ্গিনা পানিতে ভেসে যাওয়ার কারণে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা অহরহ ঘটতে দেখা যাচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সম্প্রতি পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জেলার এমন কোন এলাকা নেই যেখানে দু’ একজন শিশু পানিতে ডুবে করুন মৃত্যুর শিকার হচ্ছে না। যা একেবারেই অনভিপ্রেত।
পত্রিকার পাতা উল্টালে প্রায় প্রতিদিনই পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর সংবাদ দেখা যায়। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়ও বটে। চাঁদপুর একটি নদী মাতৃক এলাকা। এখানে নদী-নালা, খাল-বিল আর পুকুর ডোবার অভাব নেই। বর্ষা আসলে এসব খাল-বিল ও পুকুর-ডোবা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। ফলে পানিতে পড়ে অহরহ শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে থাকে। এর জন্য সকল বাবা-মাকে অধিক সচেতন হওয়া জরুরী।
ছোট্ট শিশুটি কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে যাচ্ছে তার জন্য সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। অন্তত এই সময়টাতে ঘরের ছোট্ট শিশুটি যাতে একাকি ঘরের বাহিরে যেতে না পারে সে জন্য প্রত্যেক পিতা-মাতাকেই সতর্ক থাকা দরকার। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় শুধু একটি পরিবারকে বিপর্যস্ত করে না এতে আমাদের আগামীর প্রজন্মকে বেশ নিরাপত্তাহীন করে তোলে। এজন্য সকল শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। অকালে প্রিয় সন্তানটিকে হারিয়ে যাতে আর কোন বাবা-মাকে নিঃস্ব হতে না হয় তার জন্য সকলকে সজাগ থাকা একান্ত প্রয়োজন।
এর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর তথা শিশু নিরাপত্তা নিয়ে যারা কাজ করেন তারা বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নিতে পারেন। বিশেষ করে প্রত্যেক পিতা-মাতাকে এই বিষয়ে সচেতন করে তুলতে সতর্কতা ও জন সচেতনতা মূলক প্রচারনার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
শিশুরা বড়ো হওয়ার জন্য যাতে নিরাপদ একটি যায়গায় পায় সে জন্য আমাদেরকেই উদ্যোগ নিতে হবে।