চাঁদপুর শহরে বেশ কিছু দিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী শাক সবজির বাজার। প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির। সবজি কেজিতে পাঁচ থেকে পনের টাকা পর্যন্ত বাড়তি রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে শহরের মিশন রোডের শাহী জামে মসজিদ এলাকায় ভাসমান দোকান ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব ভাসমান দোকানে কেজিতে পাঁচ থেকে পনের টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩২ টাকা, গাজর (চায়না) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, উস্তা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙা (ধুন্দুল) ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙা ৬০থেকে ৬৫ টাকা, কাকরোল আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে কচুর ছড়া, কচুর লতি, কলার দাম অপরিবর্তিত আছে। বর্তমানে কচুর ছড়া বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, কচুর লতি ২০ থেকে ২৫ টাকা, প্রতিহালি কাঁচা কলা ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়া ধনিয়া পাতা (দেশী) কেজিতে ৭০ টাকা বেড়ে প্রতিক ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০টাকা পর্যন্ত। এইদিকে দাম বেড়েছে শাকের। লাল শাকের (আঁটি) দাম চাওয়া হচ্ছে ৩৫ টাকা, মুলা ও কলমি শাক ৪০থেকে ৪৫ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৪০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ও ডাটা শাক ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। অপরদিকে বর্তমানে প্রতিকেজি হরিন জিরা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, রজনীগন্ধা মিনিকেট চাল ৬০টাকা, বাসমতি চাল ৭৫ থেকে ৯৫ টাকা।
আতপ চাল ৬৫ থেকে৭৫ টাকা, পোলাও’র চাল ৯৫ থেকে ১৩৫ টাকা, পায়জাম চাল ৫২টাকা, আঠাশ চাল ৫০ টাকা ও এক সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজিদরে। প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৯০ টাকা কেজিদরে। খোলা সয়াবিন তেল (লাল) বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫ টাকা ও খোলা (সাদা) সয়াবিন ১৬০ টাকা লিটার। ভাসামান দোকানের ক্রেতা (রাজমিস্ত্রী) আঃ লতিফ খান বলেন, চাঁদপুর শহরে নিম্নআয়ের মানুষের বোবা কান্না। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে অথচ মানুষের আয় কমেছে। বাজারে জিনিসপত্রের সংকট নেই তবুও চাওয়া হচ্ছে বাড়তি দাম। আমরা বিপদে আছি। এভাবেই নিজের অনুভূতি জানান তিনি।
প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক মনির হোসেন বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। স্থানীয় প্রশাসন বাজার মনিটরিং না করায় অসাধু ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। মিশন রোডস্থ শাহী জামে মসজিদ এলাকায় ভাসমান সবজি বিক্রেতা
আতিকুল রহমান বলেন, বাজারে সবজি আছে কিন্তু আমদানি কম। সারা দেশে বর্ষার পানিতে সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। যতটুকু বাজারে আসছে তার দাম চড়া। আমরা বাড়তি দামে কিনে বাড়তি দামেই বিক্রি করছি। চাঁদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুই পাশে ভ্রাম্যমান দোকানঅ
ভোগান্তি চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর দুই পাশে অবৈধভাবে ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়ে যানযট ও ভোগান্তির সৃষ্টি করেছে। সকাল থেকে রাতে ১০টা পর্যন্ত। বিকাল বেলায় এসব ভ্রাম্যমান হকারদের উৎপাত বেড়ে যায়। তারা ফুটপাতে সবজিসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করে থাকেন। একইভাবে শহরের বিভিন্ন সড়কে অবৈধভাবে দখল করার কারণে পথচারীদের দূর্ভোগে পড়তে হয়।এছাড়াও যত্রতত্র অটোবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিকশা দাঁড় করিয়ে রাখার ফলে পথচারী ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ফুটপাত ও সড়কের দুইপাশে ভ্রাম্যমান হকারদের অবৈধ দখলে চলে যাওয়ায় মারাত্মক যানজটে পড়তে হয় শহরের চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের। ফলে সাধারণ পথচারীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
শহরের পাল বাজার এলাকা থেকে শুরু করে রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের সড়ক, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে, মিশন রোডের মোড়, স্টেডিয়াম রোড, পুরাতন বাস স্ট্যান্ড, ডিসি অফিসে সামনের সড়কে অবৈধ দখল করে রেখেছে হকাররা। এইদিকে শহরের লেকের পাড়ের সড়কের দুই পাশে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পারে না সাধারণ পথচারীরা। কারণ এই এলাকার ফুটপাত জুড়ে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বসে নানা দোকান।
অপরদিকে মিশন রোড়ে রেল ক্রসিংয়ে দুই পাশে কাঁচা বাজার-সবজি, ফলমূল, মাছের দোকানসহ কী নেই এই ফুটপাতে। ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী বাজার গড়ে তোলায় বাধ্য হয়ে পথচারীদের হাঁটতে হয় সড়ক ধরে। পথচারী সড়ক ধরে হাঁটার কারণে সড়কে যানবাহন চলে ধীরগতি।
স্টাফ রিপোটার