সাগরপারে কে ডাকে

কক্সবাজারে এনজিওতে কর্মরত এক তরুণ। কাজের ফাঁকে ভিডিও করা তার শখ। হঠাৎ একসময় তার কানে ভেসে আসে অদ্ভুত ডাক। অজানা রহস্য তাকে ডাকে। যা ছোট শিশুদের ডেকে নিয়ে যায় জলের কিনারায়। টেনে নিয়ে যায় সমুদ্রের অতলে। এরপর রহস্য আরও বাড়িয়ে দেয়। এমন রহস্যময় গল্প দিয়েই শেষ হচ্ছে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকির অরিজিনাল অ্যান্থলজি সিরিজ ‘ষ’–এর শেষ গল্প ‘নিশির ডাক’। প্রচার হবে আজ রাত ১০টা ৫৯ মিনিটে। গল্পে এনজিও কর্মী চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রীতম হাসান।
সাইকোলজিক্যাল হরর ঘরানার চারটি ভিন্ন গল্প। কোনোটার সঙ্গে একটুও মিল নেই। ধারাবাহিকভাবে মাসের শুরু থেকেই প্রতি সপ্তাহে প্রচারিত তিনটি পর্ব নিয়েই দর্শকদের বাড়তি আগ্রহ ছিল। সিরিজের প্রথম পর্ব ছিল মাছকে ঘিরে। প্রচলিত গল্প, মাছ কিনলে বাসায় ভূত আসে। এমন গল্পে ‘এই বিল্ডিংয়ে মেয়ে নিষেধ’ দর্শক পছন্দ করেন। পরে প্রচার হয় ‘মিষ্টি কিছু’। মিষ্টির একটি দোকানকে কেন্দ্র করেই ভৌতিক নানা ঘটনা ঘটতে থাকে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে প্রচার করা হয় তৃতীয় পর্ব ‘লোকে বলে’। কুসংস্কার জন্ম দেয় এমন একটি গ্রাম নিয়েই গল্প।

যে গ্রামে দুই তরুণ–তরুণী গিয়ে গোলকধাঁধার মধ্যে আটকে পড়ে। প্রতিটি গল্পেই ছিল চোখে পড়ার মতো লোকেশন, চরিত্রের গভীরতা, দারুণ গল্প বলার স্টাইল, গল্পের ভিন্নতা। দর্শকদের জন্য শেষ ও চতুর্থ ভূতের গল্প ‘নিশির ডাক’।

সাগরপারে-কে-ডাকে

যে কারণে দর্শকদের অপেক্ষা থাকে সিরিজটি নিয়ে। ওটিটিতে নির্মাণের ক্ষেত্রে সব নির্মাতাই থ্রিলার গল্পের পেছনে ছোটেন। কিন্তু ভিন্ন ধরনের ভৌতিক গল্প কেন আপনি পর্দায় তুলে ধরতে আগ্রহী হলেন? এমন প্রশ্নে নুহাশ হুমায়ূন বলেন, ‘তখন থ্রিলার অনেক গল্প নিয়ে ওটিটিতে কাজ হচ্ছিল কিন্তু ভূত নিয়ে কোনো কাজ হয়নি। তখন মনে হলো ভূত নিয়ে গল্প বানানো যায়। শুরু করি গল্প ভাবা। পরে তো শুটিং শেষে রিলিজ দিয়ে বুঝলাম, ভূতের গল্পগুলো দর্শক ভীষণ পছন্দ করেছেন।’
‘নিশির ডাক’ নিয়ে কোনো মজার গল্প আছে কি না জানতে চাইলে এই পরিচালক বলেন, ‘আমরা শুটিং করেছি কক্সবাজারে। শুটিংয়ের জন্য কিছু শিশু অভিনেতা দরকার ছিল। আমাদের কাছে মনে হয়েছিল, স্থানীয় শিশুদের নিলেই ভালো হবে। পরে আমি তাদের ইন্টারভিউ করি। কিন্তু শুটিংয়ে গিয়ে দেখি অন্য এক বাচ্চা। অদ্ভুত হলেও তখন জানতে পারি, যাদের সিলেক্ট করেছিলাম, তাদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। গল্পের মতোই ডিসঅ্যাপিয়ার্ড শিশুগুলো।’

গান গেয়ে পরিচিতি লাভ করেছেন এই প্রজন্মের তরুণ শিল্পী প্রীতম হাসান। কালেভদ্রে দেখা যায় ক্যামেরার সামনে। ‘নিশির ডাকে’ অভিনয় করলেন তিনি।

প্রীতম বলেন, ‘নুহাশের সঙ্গে আমার সব সময় এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করা হয়েছে। আমরা সব সময় নতুন চিন্তা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। পেটকাটা “ষ” আমাদের জন্য খুব বিশেষ একটা কাজ। সেই সঙ্গে একটা সিরিজে এত গুণী মানুষ একসঙ্গে কাজ করেছেন, সেটাও আমার জন্য একটা বড় পাওয়া।’ ‘নিশির ডাকে’ অভিনয় করেছেন মাসুদা খান। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে এটা প্রথম অভিনয় করা। প্রথম কাজেই নুহাশ ও এত অসাধারণ একটা টিমের সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। “নিশির ডাকে” যে টুইস্ট আছে, দর্শক সেগুলো দেখে খুব মজা পাবে।’

অ্যান্থলজি সিরিজ ‘ষ’ নিয়ে চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘চরকি সব সময় চেষ্টা করে দর্শকদের মৌলিক ও ভিন্ন কনটেন্ট উপহার দেওয়ার। সেই ধারাবাহিকতায় সাইকোলজিক্যাল হরর ঘরানার পেটকাটা “ষ” চরকিতে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই সিরিজের তিনটি পর্ব ইতিমধ্যে তুমুল আলোচিত হয়েছে। আশা করছি, শেষ পর্বটি দেখেও দর্শক দারুণ উপভোগ করবে।’

দারাজ নিবেদিত ওয়েব সিরিজটির চতুর্থ পর্বে অভিনয় করেছেন প্রীতম হাসান, মাসুদা খান, নভেরা রহমান, নাবিল নাসের, আবির প্রমুখ। ‘এই বিল্ডিংয়ে মেয়ে নিষেধ’, ‘মিষ্টি কিছু’ ও ‘লোকে বলে’ দর্শক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পর্বগুলোতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, চঞ্চল চৌধুরী, নওশাবা আহমেদ, সোহেল মণ্ডল, শিরিন শিলা, মিশু, তাসলিমা হোসেন প্রমুখ। পর্ব তিনটি দেখতে ক্লিক করুন-https://www. chorki. com/bn/series/pett-kata-shaw-horror

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *