সড়কে দুর্ঘটনা রোধে মোটরসাইকেল চালকদের আরো অধিক সতর্কতা প্রয়োজন

 

 

কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল

দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো, ট্রাফিক নিয়ম না মানা, হেলমেট ব্যবহারে অনীহা। সম্প্রতি কচুয়ায় এক মোটর সাইকেল আরোহী যুবক নিহত

হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অন্যদিকে অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটছে। বাসে যেসব দুর্ঘটনা ঘটছে এর পেছনে

কারণ রাস্তার খানাখন্দ, অচল রাস্তাঘাট ও সড়কপথে নৈরাজ্য। এসব অসতর্কতার কারণেই এভাবে প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের

মৃত্যু কিংবা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। বলার অপেক্ষা রাখে না, দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যেভাবে একের এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে,

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যেন এটি একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষকে প্রয়োজনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয়, যানবাহনে চড়তে হয়। চলার

পথেই আর কত মানুষের এভাবে মৃত্যু হবে! আমরা কি কোনোভাবেই এটা প্রতিরোধ করতে পারব না? দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো, অনেক চালক সঠিকভাবে

প্রশিক্ষিত নন। এমন চালকের সংখ্যা কম নয়। যখন গাড়ির গতি বৃদ্ধি ছাড়াও মহাসড়কে বড় যানবাহনের সঙ্গে ছোট যানবাহন চলার কারণে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে
বলেও অভিযোগ আসছে, তখন এ বিষয়টি বিবেচনা করে সঠিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে দ্রুত। দুর্ঘটনার নেপথ্যের কারণগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে নিতে হবে
সুষ্ঠু পদক্ষেপ। প্রতিবার দুর্ঘটনার পর পরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদন কোনোদিন আলোর মুখ দেখে না। সঙ্গত কারণেই দোষীদের

শাস্তিও হয় না। বিচারহীন, প্রতিকারহীন অবস্থায় কোনো কিছু চলতে থাকলে এর পুনরাবৃত্তি তো ঘটবেই। তাই দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবার আগে প্রয়োজন আইনের
কঠোর প্রয়োগ। দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় নিয়ে ভাবতে হবে। সামগ্রিকভাবে দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্টরা যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে দৃঢ় এবং আন্তরিক
হবেন- এমনটিই প্রত্যাশা আমাদের।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *