স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুরে জাটকা সংরক্ষণ অভিযানে নদীতে হরিণা নৌ পুলিশের প্রথম দিন থেকেই ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। তার প্রেক্ষিতে ১ মার্চ থেকে ১০ মার্চ সময়ে ৩টি নিয়মিত মামলায় ১৩ জেলেকে গ্রেফতার করেছে তারা।
জানা যায়, হরিণা নৌ পুলিশ ফাড়িকে ম্যানেজ করে এক সময় হানারচর ও বাখরপুর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সন্ধায় জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতো। ঐ সময়ে হরিণা-লক্ষিপুর খাল, গোবিন্দা নন্দীর দোকান, আখনের হাট খালের মুখসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নদীতে নামতো জেলেরা। আর এমন কুকর্মটি স্থানীয় জেলেরা হরিণা নৌ পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জে যিনি দায়িত্ব থাকতেন তাকে মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে ম্যানেজ করেই নদীতে নামতেন। এরপর জেলের জালে ধরা পড়া ইলিশ মাছ স্থানীয় আড়ৎদার ও প্রভাবশালীরা যোগসাজশ করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিতেন।
কিন্তু বর্তমান সময়ে হরিণা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান যোগদানের পরেই সকল অপকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। নানা সীমাবদ্ধতা নিয়েও তিনি ও তার টিম প্রতিনিয়ত নদীতে ট্রহল দিয়ে যাচ্ছেন। জাটকা সংরক্ষণে এখন পর্যন্ত তিনি ২০ লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৩টি নিয়মিত মামলায় ১৩ জেলে ও ৫ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করেছেন।
এ ব্যাপারে হরিণা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা আমাদের নৌ সীমানায় জাটকা ইলিশ নিধন করতে দেবো না। কোন অসাধু জেলে যাতে নদীতে নামতে না পারে সেদিকে কড়া নজর রাখছি। দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।