কচুয়া উপজেলার ১৩৮নং আয়মা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে অশুভ আচরণ,পেশীশক্তি প্রয়োগ,বিদ্যালয়ে যথাসময়ে না আসাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসীর পক্ষে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মুক্তার হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বদলি ও শাস্তির দাবি জানিয়ে চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল আজিজ ১৯৯৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৩৮নং আয়মা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। নিজ গ্রামে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে বিভিন্ন সময়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ,যথাসময়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত না হয়ে ক্লাস ফাঁকি দেয়া,বিদ্যালয়ের বিগত বছরের আয়-ব্যয় হিসাব গড়মিল করে নানান অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি। নিজ এলাকায় দীর্ঘদিন চাকুরি করায় কেউ প্রতিবাদ করলে এলাকার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময়ে হেনস্তাসহ নানান ভাবে হয়রানি করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে লুঙ্গি পড়ে বিদ্যালয়ে আসেন এবং অন্য সহকারী শিক্ষিকাদের দিয়ে বিভিন্ন সময়ে ক্লাসে ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করান। তার এহেন কর্মকান্ডে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তার এমন আচরনে অনেক অভিভাবক তাদের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অপরাগতা শিকার করছেন। এলাকার সচেতন মহল ওই শিক্ষক আব্দুল আজিজকে অন্যত্র বদলি করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. নজরুল ইসলাম,ফাতেমা মেম্বার,শিখা রানী ও অপু সরকারসহ আরো অনেকে বলেন, সহকারী শিক্ষক আব্দুল আজিজ প্রভাব বিস্তার করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে। তার আচরনে আমরা খুবই বিরক্ত। তাকে অবিলম্বে এই বিদ্যালয় থেকে অন্যত্রে বদলির জোর দাবি জানাই।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল আজিজ তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের হিসাব-নিকাশ করে থাকেন প্রধান শিক্ষক। হিসাব ছাড়া তো স্কুল চলে না। অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটি কেন তার প্রতি বিরক্ত জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকলের মন জয় করা সম্ভব নয়।
সহকারী শিক্ষক আব্দুুল আজিজের বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলামের মোবাইলে বারবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
কচুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি উপরোক্ত বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে খোজখবর নিয়ে দোষী হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করব।
কচুয়া প্রতিনিধি