অসাধু প্রক্রিয়াকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল
বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণই নেই। টিসিবির পণ্য বিক্রি বাজারে কোনো প্রভাব ফেলছে বলেই মনে হয় না। বাজারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকারের কিছু সংস্থা রয়েছে। বাজারের সাম্প্রতিক সময়ের অবস্থা দেখে মনে হয়, সেসব সংস্থা শীতকাল আসার আগেই শীতঘুমে গেছে।
‘সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে দোকানে চিনির দাম বেশি রাখা হচ্ছে, ভোক্তাদের কাছে এটার ডকুমেন্ট (ক্রয়ের রসিদ) থাকলে আমরা অভিযানে নামব। কারণ ব্যবসায়ীরা চিনির দাম বেশি রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন না। ’ তিনি প্রকারান্তরে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার দায় চাপালেন ভোক্তাদের ওপর। যে ভোক্তা ১০ দোকান ঘুরে এক দোকানে চিনি পেলেন, দোকানদার রসিদ না দিলে তিনি কি সেই চিনি না কিনে ফিরে আসবেন?
বাসায় থাকা ছয় মাসের শিশুটির কথা কি তিনি ভাববেন না? সেই শিশুটি কি দুধ না খেয়ে অভুক্ত থাকবে? এ ধরনের কথা বলে দায় এড়ানোর এমন অপচেষ্টা কেন? বাজার থেকে চিনি উধাও হয়ে গেলে দোকানিরা রসিদ ছাড়া বেশি দামে চিনি বিক্রি করলে সরকারের কি কিছুই করণীয় থাকবে না?
ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণের দায়িত্ব সরকারের। আন্তর্জাতিক বাজারে কোন পণ্যের দাম কতটা বাড়ছে এবং দেশে কতটা বাড়ছে তা দেখতে হবে। অসংগতি থাকলে তা নিরসন করতে হবে। এর মধ্যে কোনো অসাধু প্রক্রিয়া থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *