জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এমন পরিস্থিতিতে কাবুল বিমানবন্দর এড়িয়ে চলতে মার্কিন নাগরিকদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন তারা। খবর বিবিসি।
তবে কাবুলে আইএসের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। তা ছাড়া আইএস প্রকাশ্যে কাবুলে হামলার কোনো হুমকিও দেয়নি।
গত জুলাইয়ে তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে তাদের শত্রু বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আইএস আমাদের শত্রু এবং সব মুসলিম দেশ এই গোষ্ঠীর বিরোধী। তালেবানের সঙ্গে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনো রকম সম্পর্ক নেই।
আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের প্রতি নিরাপত্তাবিষয়ক একটি নির্দেশনা জারি করে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে হামলার আশঙ্কা থাকায় যতদূর সম্ভব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে তাদের দূরে থাকতে বলা হচ্ছে।
সতর্কতায় বলা হয়, মার্কিন সরকারের প্রতিনিধি যাদের কাবুল বিমানবন্দরে আসতে বলবেন, শুধু তাদেরই সেখানে আসা উচিত, অন্যদের নয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, তারা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। বিকল্প পথ খুঁজছেন।
একের পর এক শহর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখল করে আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা দেয় তালেবান।
তালেবান ক্ষমতায় বসার পর থেকেই কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করছে হাজার হাজার মানুষ। এর মধ্যে অনেক মার্কিন নাগরিকও রয়েছেন।
কাবুল বিমানবন্দরের প্রবেশমুখসহ আশপাশের এলাকায় সশস্ত্র পাহারা বসিয়েছে তালেবান। ভ্রমণের বৈধ নথি না থাকা আফগানদের তারা ফিরিয়ে দিচ্ছে। কাবুল বিমানবন্দরের ভেতরে নিরাপত্তা দিচ্ছে মার্কিন বাহিনী।
গতকাল মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কাবুল বিমানবন্দর থেকে মোট ১৭ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন মার্কিন নাগরিক রয়েছে।
এছাড়া আফগানিস্তান থেকে প্রায় ১২ হাজার বিদেশি ও আফগানকে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ন্যাটো।
অনলাইন ডেক্স,২২ আগস্ট ২০২১;