আওয়ামী লীগের সঙ্গে সত্যের সম্পর্ক নেই : মোশাররফ

ঢাকা রিপোর্টার

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সত্যের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য ইতিহাসকে বিভিন্নভাবে বিকৃত করছে বর্তমান সরকার। তাদের সঙ্গে সত্যের কোনো সম্পর্ক নেই।

গতকাল মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে মহিলা দল।

‘বিএনপি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে’—আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মোশাররফ বলেন, এ ধরনের কথা বলে দেশের জনগণকে তারা বিভ্রান্ত করতে চায়। তারা দিনের ভোট রাতে করে গত ১৪ বছর ধরে গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। দেশের রাষ্ট্র কাঠামো এক-এক করে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ।

১৯৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দাবি করে তিনি বলেন, তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে বা-কশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। এদেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নামে তারা লুটপাটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা করেছিল।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রক্ষী বাহিনী তৈরি করে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গুম ও বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল বলে মন্তব্য করেন মোশাররফ।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখনই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেই, সরকার বলে আমরা নাকি ভায়োলেন্স করব। অথচ আওয়ামী লীগের আমলে রক্ষী বাহিনী তৈরি করে দেশের ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল। ওরা দেশে গুম ও বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল।

মানববন্ধনে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান বলেন, শেখ হাসিনা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি। আমরা বলতে চাই, ২০১৪ এবং ২০১৮ সাল ভুলে যেতে হবে। বাংলাদেশে নির্বাচন হলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। সেটা যদি প্রধানমন্ত্রী না করেন…তবে ৫২, ৬৯, ৯০ এর মতো আরেকটি গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে জনগণের সরকার নির্বাচিত হবে। সেই সরকার হবে বিএনপি সরকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সভাপতি মির্জা আফরোজা আব্বাস ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ আরও অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *