স্টাফ রিপোর্টার
ইলিশ আহরণের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মানছে না জেলেরা। চলতি বছরেই ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকতে জেলেদের প্রায় ২৬ হাজার টন চাল বিতরণ
করা হয়েছে। কিন্তু এতেও জেলেদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিনিয়তই নানা কৌশলে ইলিশ শিকার করছে জেলেরা।
নৌপুলিশও অভিযান অব্যাহত রেখেছে। অবৈধ জাল জব্দসহ জেলেদের গ্রেফতারও করছে। তবুও থামছে না। জনসচেতনতা না বাড়লে নিষেধাজ্ঞা
বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার নৌপুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের অন্যতম মৎস্য সম্পদ মা ইলিশ সংরক্ষণে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি নৌপুলিশ নৌপথে
বিভিন্ন ধরনের অভিযান পরিচালনা করছে। মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর
পর্যন্ত মোট ২২ দিন মা ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত, পরিবহণ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে নৌপুলিশের ১২২টি থানা ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা পদ্মা, মেঘনা, ডাকাতিয়া, বিষখালী, পায়রা, কচা, পশুর, রূপসা, বলেশ্বর, হাতিয়া
চ্যানেলসহ মা ইলিশ বিচরণের উল্লেখযোগ্য নদী ও সমুদ্র উপকূলে অভিযান পরিচালনা করছে। গত ১২ দিনের এই অভিযানে নৌপুলিশ নৌপথে
অবৈধভাবে মৎস্য শিকারের জন্য ব্যবহৃত মোট ৬১ কোটি ৪৭ লাখ ১৬ হাজার ৭৮৭ মিটার জাল, ২৭ হাজার ২২৬ কেজি মাছ, ১৮৬টি মামলা, ২৯৬টি
মোবাইল কোর্ট ও ১৮৭৬ জনকে আটক করে। নৌপুলিশ বলছে, আগামী ২৮ অক্টোবর এই অভিযান শেষ হবে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ ধরার দায়ে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকাসহ ছয় জেলেকে আটক করেছে
হরিণা নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
গতকাল বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরের দিকে জেলা সদরের চান্দ্রা ইউনিয়নের আখনের হাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- মিন্টু চৌকিদার (২৭), শরিফ চৌকিদার (২২), শামিম বেগ (১৯), নাঈম চৌকিদার (২০), জিহাদ বেগ (২৭) ও রফিক চৌকিদার (৬২)।
হরিণা নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল বালা বাংলানিউজকে বলেন, আটক জেলেরা সবাই চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের বাসিন্দা। মেঘনা নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে মামলা হয়েছে এবং তাদের চাঁদপুর আদালতে
পাঠানো হয়েছে।