এক ট্রলারে মিলল ১০২ মণ ইলিশ

 

মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২১ জন জেলে মাছগুলো তিন দিনে ধরেছে। আজ সকালে ট্রলারটি চেয়ারম্যান ঘাটে এসেছে। বিভিন্ন সাইজের মাছ ছিল। তবে বড় সাইজের ইলিশ মাছ বেশি ছিল। নিলামে দাম তুলতে তুলতে শেষ পর্যন্ত ১০২ মণ ইলিশের দাম হয়েছে ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, হাতিয়ার জেলেরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় কিন্তু তাদের ঘর-বাড়ি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি ব্লকের ব্যবস্থা করেন, তাহলে এই জেলেরা দেশের অর্থনীতিতে ভালো ভূমিকা রাখতে পারবে। জেলেদের জন্য এই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী নিজ টাকায় চেয়ারম্যান ঘাট মৎস্য আড়ৎ নির্মাণ করেছেন।

Dhaka post

বোটটির সারেং মো. জহির ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেঘনা নদীতে ইলিশ কম। তাই গভীর সমুদ্রে গিয়েছি মাছ ধরতে। সেখান থেকে আসতে আমাদের ১৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে। মাছগুলো আকারে বড় হয়েছে। দামও ভালো পেয়েছি।

চেয়ারম্যান ঘাটে ঘুরতে আসা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম আরিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা। নোয়াখালীতে পড়ালেখা করার জন্য এসেছি। মেঘনার ইলিশ এখন প্রায় সবখানে পাওয়া যায়। একসঙ্গে ১০২ মণ তাজা ইলিশ দেখে আমার ভালো লেগেছে।

চেয়ারম্যান ঘাটে মাছ ট্রলার থেকে আড়তে আনার কাজ করেন মো. রাকিব। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এতদিন নিষেধাজ্ঞা ছিল, তাই সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারেনি জেলেরা। আমাদেরও কাজ ছিল না। আমরা ৬৫ জন লোক আছি, মাছ টানার কাজ করি। এখন মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা এতেই খুশি।

Dhaka post

হাতিয়া মৎস্য সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাতিয়া উপকূলের ৫০০ ফিশিং বোট সাগরে মাছ আহরণ করে। এক সপ্তাহ ধরে নদীতে অনেক মাছ ধরা পড়ছে। আগে এই উপকূলে মাছ শিকারে গেলে ডাকাতের কবলে পড়ত জেলেরা। কিন্তু বর্তমানে ডাকাত নেই। জেলেরা নির্বিঘ্নে মাছ ধরতে পারছে। সামনে ভরা মৌসুমে নদীতেও অনেক মাছ পাওয়া যাবে।

হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আখতার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল ৯৯ মণ মাছ পেয়েছে একটি ট্রলার। আজ ১০২ মণ পেল আরেকটি ট্রলার। প্রতিনিয়ত সমুদ্রে যাওয়া ট্রলারগুলো ঘাটে আসছে। নিষেধাজ্ঞার পর এত মাছ একসঙ্গে পেয়ে জেলেরা যেমন খুশি, ব্যবসায়ীরাও খুশি।

Dhaka post

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। এছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের মোহনায় মাছ ধরতে জেলেরা আসে। ইলিশ শিকার করে জেলেরা ফিরতে শুরু করেছে। আমরা খুব ভাগ্যবান কারণ এই মোহনার পানি স্বাদু ও সামুদ্রিক পানি মিশ্রিত। যা ইলিশের জন্য খুব ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *