কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল দুই বছর ধরে চলমান কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে ঈদ এসেছে চারটি। এ সময় লকডাউন, আইসোলেশন, সামাজিক দূরত্ব ইত্যাদির কড়াকড়ি ছিল। তাই গ্রামের বাড়ি গিয়ে স্বজনের সাথে ঈদ আনন্দে শরিক হতে পারেননি বেশির ভাগ মানুষ। করোনা সংক্রমণ এখন নিস্তেজ হয়ে এসেছে। নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রথম ঈদ আসছে। তাই এবার নাড়ির টানে ঘরে ফেরার তাগিদ থাকবে সবার মধ্যেই। ধারণা করা হচ্ছে, বিপুলসংখ্যক মানুষের চাপ সামলাতে পারবে না আমাদের অপ্রস্তুত জাতীয় মহাসড়কগুলো। এতে পথে পথে বড় ধরনের দুর্ভোগের শিকার হতে পারেন যাত্রীরা।
বাস, লঞ্চ, স্টিমারে ঈদ সামনে রেখে টিকিটের দাম বাড়িয়েছেন পরিবহন মালিকরা। রয়েছে যানবাহন সঙ্কটও। অনেক সড়ক ভাঙাচোরা, কোথাও নির্মাণকাজ চলছে। এরই মধ্যে অনেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। মহাসড়কে যানবাহনের ভিড় বেড়েছে। এমনকি পথের যেখানেই নামেন না কেন যাত্রীকে ভাড়া দিতে হবে শেষ গন্তব্যের, এমনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিছু পরিবহন সংস্থা। একটি সভ্য দেশে নৈরাজ্যের এর চেয়ে বড় দৃষ্টান্ত আর কী হতে পারে?
তবে এবার চাঁদপুরে যেভাবে মানুষ আসছে তাতে কিছুটা বিড়ম্বনা হওয়াই সভাবিক। এবার ট্রেনে যাত্রীর পরিমাণ পাঁচগুণ বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যারা বিমানে যেতে চান তাদেরও ইচ্ছা পূরণের সম্ভাবনা কম। এরই মধ্যে সব রুটের সব এয়ারলাইন্সের টিকিট ফুরিয়ে গেছে। সুতরাং সড়কপথই হবে বেশির ভাগ মানুষের শেষ অবলম্বন।
কিন্তু সড়কপথের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। এর যেন কোনো শেষ নেই। জনদুর্ভোগের বিষয়টি কর্তাদের কাছে বিবেচ্য বলে মনে হয় না। ঈদ আসবে এবং তখন সড়কে বাড়তি চাপ পড়বে এটা কারো অজানা নয়। কিন্তু সে জন্য কোনো প্রস্তুতি নেয়া হয়নি। সকল যাত্রা নিরাপদ হোক এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।