চাঁদপুরে ৩ উপজেলার ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন : নিহত ১

গতকাল বুধবার (৫ জানুয়ারি) চাঁদপুর জেলার ৩ উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নে বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এসময় উপজেলাগুলো বিপুল পরিমান র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েনের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। তবে কিছু প্রার্থীদের মারমুখী আচরনের কারণে সহিংস ঘটনা ঘটে। তার পরেও সকল কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুপুরে হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের বাহের চর ও কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, উপজেলার নীলকমল দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ৩০০ মিটার দূরে একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে তাকে বহিরাগত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পঞ্চম ধাপের নির্বাচনী সহিংসতায় চাঁদপুরের হাইমচরে ১ ব্যক্তি নিহত এবং কচুয়ার অপরজন মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে খবর পাওয়াগেছে। ইউপি সদস্যদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে চুরিকাঘাতে একজন গুরুতর আহত হন কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নের হাতিরবন্ধ কেন্দ্রের বাহিরে। তার নাম শরীফ। রাতে চাঁদপুর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা ডিআই (টু) থেকে জানানো হয়, কচুয়া থানাধীন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, মারা যাওয়ার সংবাদটি পাওয়া গিয়েছে, তা সত্যি নয়। তবে ভিকটিম গুরুতর আহত। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এছাড়াও শরীফের নিকটাত্মীয় মো. রাসেল জানান, শরীফ এখনও জীবীত। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। বর্তমানে আইসিওতে আছে। তার জন্য রক্তের ব্যবস্থা করার জন্য বলেছেন চিকিৎসকরা।

আরেকজনের মৃত্যু হয় হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ইশানবালা ৬নম্বর ওয়ার্ডে। তবে তার নাম এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তার বাড়ী পাশবর্তী শরীয়তপুর জেলায়। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের সময় ককটেল বিষ্ফরণ ঘটাতে গিয়ে সে গুরুতর আহত হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, নীল কমল ইউনিয়নে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার নাম ঠিকানা জানাযায়নি। অজ্ঞাত হিসেবে আছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

পঞ্চম ধাপে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ১৩, কচুয়ার ১২ ও হাইমচর উপজেলার ৪ ইউনিয়নসহ মোট ২৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে ১৬২ জন, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে মোট ১ হাজার ৪১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *