উশৃংখল ছাত্রদের দ্বন্দ্বে অভিভাবকদের মাঝে উদ্বেগ

স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুরে ২ গ্রুপ শিক্ষার্থীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের জের হিসেবে ভুল টার্গেটের কারণে নিরিহ মোরছালিন নামক এক জন মেধাবী শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্রেও প্রচন্ড ও উপর্যূপুরি কিরিজ,রামদা ও চা’পাতির আঘাতে কুপিয়ে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইন কলেজের শিক্ষার্থীর হাত কর্তন করা হয়েছে। এ ঘটনায় রক্তাক্ত জখম হয়ে আহত হয়েছে পাঁচ জন আপর শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পুলিশ ২জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। বর্তমানে শরীর থেকে হাত কর্তন হয়ে পড়া রক্তাক্ত জখম শিক্ষার্থী মোরছালিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জিকেল ওয়ার্ডেও ১০নাম্বার বেডে চিকিৎসার্ধীন অবস্থায় মৃত্যুর যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।

এ ব্যাপারে আজ সোমবার(২১ মার্চ) আহতের পিতা শাহাদাত হোসেন চাঁদপুর মডেল থানায় হত্যা চেস্টার অভিযোগ এনে একটি অভিযোগ করেছেন। আটক ২জনকে পুলিশ আজ সোমবার আদালতে পাঠালে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাছানোর নির্দেশ দিয়েছে।

চাঁদপুরে আল-আমিন স্কুল এন্ড কলেজের ২ গ্রুপ শিক্ষার্থী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ঘোষনা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রনিয়ে নিয়ে মহড়া ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার কওে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে রাজধানী ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইন কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রদিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত করে মারাত্বক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে আহত করেছে।
এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী প্রকৃতির যুবকরা আল-আমিন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী হামলাকারী হামিম,আল-আমিন ও শামীম নামীয় ২টি গ্রুপের সৃষ্টি হয়ে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে চাইনিজ কুড়াল ও চা’পাতি দিয়ে উপর্যুপরি ভাবে কুপিয়ে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইন কলেজের শিক্ষার্থী মোরছালিন(১৯)কে রামদা দিয়ে কুপিয়ে তার বামহাতটি কর্তন করে ফেলেছে বলে তার সাথে থাকা সহপাটি শাকিবসহ অন্যসহ পাটিরা জানিয়েছেন।

এ মমান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে,রোববার (২০মার্চ) দুপুর অনুমান পৌনে ৩টায়, চাঁদপুর শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কস্থ’ চাঁদপুর প্রেসক্লাবের পিছনের নদীর পাড় এলাকায়। এ ঘটনায় পুরো চাঁদপুর শহর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আরো রক্তাক্ত জখম হয়ে আহত হয়েছে, মোরছালিনের সহপাটি ৫জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত মোরছালিনকে মূমূর্ষূ অবস্থায় জরুরী ভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকা বলে কর্তব্যরকত চিকিৎসক জানিয়েছেন। সে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুপ্রহর গুনছে।
রক্তাক্ত জখম আহত মোরছালিনের বাড়ি শহরের স্ট্র্যোন্ড রোডস্থ’ এলাকায়,তার পিতার নাম হচ্ছে,মো: শাহাদাত হোসেন। তিনি এক জন ব্যবসায়ী। বাকী আহতদেরকে হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসার দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদের নির্দেশে মডেল থানা পুলিশ আভিযান চালিয়ে ২জন হামলাকারী আল-আমিন স্কুল এন্ড করেজের শিক্ষার্থীকে আটকের পর গতাকল জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। আটককৃতরা হলেন,-শহরের গুয়াখোলার শান্ত দাস(১৮) ও হামিম বেপারী(২০)।

এ বিষয়ে রক্তাক্ত জখম মোরছালিনের সহপাটি ঢাকা ল্যাবরেটারী কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী মো: শাকিব হোসেন জানান,চাঁদপুর প্রেসকøাবের পিছনে পূর্ব থেকে দেশীয় অস্ত্রনিয়ে আল-আমিন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ২টি গ্রুপে সৃস্টি হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে মহড়া দিচিছল। ঠিক তখনই আমরা ঢাকা থেকে ৪ বন্ধু প্রেসক্লাবের পিছনে ঘুরতে আসি। আমরা এক সময় আল-আমিন স্কুলে পড়া শুনা করেছি। অস্ত্রধারী যুবকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমরা কোন পক্ষের লোক নই। তার পর ও হামিম,আল-আমিন ও শামীম দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে হামলা চালিয়ে ও কুপিয়ে আমাদেরকে মারাত্বক ভাবে রক্তাক্ত জখম ও আহত করেছে। এদিকে আল আমিন একাডেমী সাম্প্রতিক ঘটনায় অভিভাবকদের মাঝে দারুন উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ছাত্রদের ভবিষ্যত নিয়ে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, ঘটনার পর পর ঘটনাস্থলে থানার অফিসার ও পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এ ঘটনায় ২জনকে আটক করে জিজ্ঞাসা বাদ করা হচেছ। আহতের অভিভাবক তার সন্তানের চিকিৎসা শেষে আজ সোমবার চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *