ঋণ বিতরণে ক্ষুদ্র দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন

দেশজুড়ে এখন ৭৮ লাখ কুটির ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের মধ্যে কম সুদের ঋণের বড় অংশ পেয়েছে বড় শিল্পগ্রুপ। ছোটদের ঋণও গেছে ব্যবসা ও সেবা খাতে। উৎপাদন খাতের ছোট উদ্যোক্তারা ঋণের দেখা পাচ্ছে না।

কোভিড-১৯ ইস্যুতে দেশের প্রায় সব খাতই ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতি কাটিয়ে টিকে থাকতে প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।

ঋণ বিতরণের জন্য ব্যাংকের পাশাপাশি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা ও বিকাশ-রকেট-নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা (এমএফএস) ব্যবহার করা যেতে পারে।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান ঠিকই ঋণ পেয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত অতিক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোক্তারা বড় চাপে পড়েছেন। কেউ ব্যবসা গুটিয়ে এনেছে, কেউ ছোট করে ফেলেছে। ব্যাংকগুলো তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। তাই বিসিক, এনজিও ও এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তাদের কাছে ঋণ পৌঁছাতে হবে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এক প্রতিবেদনে বলছে, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২৫ শতাংশ আসে সিএমএসএমই খাত থেকে। ২০২৪ সালের মধ্যে জিডিপিতে সিএমএসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য অর্জন করতে চাইলে এসএমই বন্ড চালুর বিকল্প নেই। মোট কর্মসংস্থানের ৩৬ শতাংশ হয়েছে সিএমএসএমই খাতে। দেশজুড়ে এখন ৭৮ লাখ কুটির ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে এসব প্রতিষ্ঠানের দিকে নজর দিতে হবে।

কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *