ঋতুর বৈচিত্র আমাদের সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করে: জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টারবাঙালির বারমাসে তের পার্বণ সংস্কৃতির এক অপার নিদর্শন বসন্ত বরণ। ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক বসন্ত বরণে বাঙালি সর্বদাই সচেষ্ট। দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাকে নানা বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুর পদচারণায় শনিবার সন্ধ্যায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত বসন্ত উৎসব।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বসন্ত উৎসব ২৪২৮ বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা জনিত বিধিনিষেধের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি গান ও নৃত্যের বর্ণিল পরিবেশনায় বরণ করলো ঋতুরাজ বসন্তকে।

বসন্ত বরণ উপলক্ষে সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠানের। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মাহমুদ ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে ও জেলা কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদের তত্ত্বাবধায়নে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবু। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় (প্রশাসন ও অর্থ)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের স্বামী আবুল কাশেম মোঃ জহুরুল হক।

অনুষ্ঠানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক সংগঠক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বসন্তসহ ঋতুভিত্তিক এ আয়োজন আমাদের সংস্কৃতিচর্চার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। ছয় ঋতুর বৈচিত্র আমাদের সংস্কৃতিকে নানাভাবে আলোকিত ও প্রভাবিত করেছে। ঋতুরাজের হাত ধরে এবার আসুক নতুন দিন, এমনটাই প্রত্যাশা সবার। আলোচনা পর্ব শেষে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দের সমবেত সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠান। মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও বর্ণিল আয়োজনে বিমোহিত আগত সকল দর্শক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *