এইচএসসি পরীক্ষায় যারা বসতে যাচ্ছে তাদের সবার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল। তারা যেন ভালো ফলাফল করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করে।
শিক্ষায় এগিয়ে আসছে মেয়েরা, এ যে বড় অর্জন। তবে ছাত্র কেন কম, সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে বৈকি।পরীক্ষার্থীদের জন্য আমাদের শুভ কামনা। তারা যেন নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারে সেটা নিশ্চিত হবে, এটাই কাম্য।
এবার পরীক্ষা পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে অবগত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের। এ কাজটি সঠিকভাবে না হলে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হবে। পরীক্ষায় নকলও অগ্রহণযোগ্য। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের একটি অংশের বিরুদ্ধে নকলে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে। এটা বন্ধে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতেই হবে।
সবচেয়ে বেশি নজরদারি চাই প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে। শিক্ষামন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন, এবার প্রশ্ন ফাঁস হবে না। এ ধরনের কাজ ক্ষমাহীন অপরাধ। এতে কেউ যুক্ত হলে কঠোর দণ্ড দিতে হবে। এবার প্রতি ১০০ জন নাগরিকের একজন মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য শিক্ষায় এ এক বড় অর্জন।
তবে এটাও মনে রাখতে হবে, এ ব্যাচে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য দুই বছর আগে যারা নাম নিবন্ধন করেছিল তাদের মধ্যে দুই লাখের বেশি নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এ সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা চাই এবং সে জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা চাই পড়াশোনা এমন হওয়া যাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শতভাগ ছাত্রছাত্রীই মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেবে এবং তাদের সবাই পাস করবে।
কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল