এনআইডি কার্ড জালিয়াতি রোধে কঠোর হতে হবে

কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল

নাগরিকত্বের একটি প্রমাণ জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড। যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে এই কার্ডের প্রয়োজনীয়তা। পাসপোর্ট পাওয়া, ব্যাংকে হিসাব খোলা, মুঠোফোন নেওয়া বা নতুন সিম কার্ড তোলা, বাড়িভাড়া, হোটেলকক্ষ ভাড়া, ট্রেড লাইসেন্স তৈরিসহ আরো অনেক কাজেই এখন এনআইডির প্রয়োজন। গুরুত্ব বুঝতে না পারায় শুরুতে অনেকেই এনআইডি করেননি কিংবা অনেকের

এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেছে। ফলে এখন অনেকেই নির্বাচন কমিশন অফিসে ধরনা দিচ্ছেন কার্ডের জন্য। কিন্তু সেখানে প্রচুর ভোগান্তির অভিযোগ রয়েছে।

আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয় ১৬ ধরনের প্রমাণসূচক কাগজপত্র। মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়। তার পরও অনেকে এনআইডি পায় না। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগও আছে। এনআইডি পাওয়ার ক্ষেত্রে এমন ভোগান্তির সুযোগ নিয়ে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতারকচক্র। জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে চট্টগ্রামে মাত্র এক হাজার টাকায় দুই মিনিটের মধ্যে জাল এনআইডি কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ভোগান্তি এড়াতে সাধারণ মানুষও খুব সহজে করে নিচ্ছে এসব কার্ড। বেশি নিচ্ছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকজন এবং অপরাধীরা। এতে এনআইডি কার্ডের উদ্দেশ্য যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নানা ধরনের হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে।

এনআইডি-সংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে বছরের পর বছর গণমাধ্যমে বহু খবর এসেছে। কিন্তু অনিয়ম কমছে না। বরং যত দিন যাচ্ছে অনিয়ম তত বাড়ছে। ২০১৫ সালে এনআইডির অ্যাপ ও তথ্য ধারণ করা ছয়টি ল্যাপটপ হারিয়ে গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের চট্টগ্রাম অফিস থেকে। দীর্ঘদিন থানায় মামলাও হয়নি। এনআইডি কার্ড নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগে এর আগে নির্বাচন কমিশনের স্থায়ী-অস্থায়ী অন্তত আটজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *