চাঁদপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য করোনার টিকা দেওয়া বন্ধ

টিকার তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় চাঁদপুর জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার থেকে জেলার কোনো টিকাদান কেন্দ্রে করোনার প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে না। কবে নাগাদ পুনরায় চালু হবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।

অন্যদিকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকাও গতকাল বুধবার থেকে এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। তবে ইতিপূর্বে যারা দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের জন্য মোবাইল ফোনে এসএমএস পেয়েছেন তারা আজ টিকাদান কেন্দ্রে আসলে মজুদ থাকা সাপেক্ষে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হতে পারে। মজুদের পরিমান একেবারে সীমিত হওয়ায় কার্যত গতকাল থেকে জেলায় করোনার টিকাদান প্রায় বন্ধ থাকবে।

সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২/৩ দিনের মধ্যে চাঁদপুরে নতুন করে করোনার টিকা আসার কথা রয়েছে। নতুন করে টিকা আসলে আগামী শনিবার থেকে শুধুমাত্র প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হবে। আপাতত কিছুদিন প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ থাকবে। পরে টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে আবার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হবে। তবে কবে থেকে শুরু হবে তার দিনক্ষণ এখনি বলা যাচ্ছে না।

তিনি আরো জানান, মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হারে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন ও টিকা গ্রহণের ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ বাড়ায় এবং চাহিদা অনুযায়ী টিকা প্রাপ্তি কম হওয়ায় সাময়িক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাওয়া গেলে দ্রুততম সময়ে আবারো প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ১০ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী, চাঁদপুর জেলায় এখন পর্যন্ত (৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ আগস্ট) ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৩ ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ের প্রথম ডোজ হিসেবে ৬০ হাজার ৩৯০জন ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫০ হাজার ৮১৮জন। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪২জন ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ১ হাজার ৫০৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, ১০ আগস্ট একদিনেই সারা জেলায় করোনার টিকা নিয়েছেন ৩ হাজার ৫৬৮জন। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ের দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ১ হাজার ৮৪০জন, দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম ডোজ হিসেবে ১ হাজার ২জন ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ৭২৬জন টিকা নেন।
সিভিল সার্জন জানান, চাঁদপুর জেলায় এ পর্যন্ত করোনার টিকার জন্য মোট ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫১২জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৭৭ হাজার ৫৮জন ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ লাখ ২০ হাজার ৪৫৪জন রেজিস্ট্রেশন করেন।

স্টাফ রিপোর্টার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *