কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল
জেলায় জেলায় গুদামে সার পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে ঠিকাদারদের অনিয়ম নতুন নয়। তা-ই বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কয়েকটি জেলায়। এখন আমন ধানের ভরা মৌসুমে এমওপি সারের
জন্য বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে হচ্ছে সেখানকার কৃষকদের। সারের সঙ্কট নেই, আবার সেই সার পাচ্ছেন না কৃষক। এমন পরিস্থিতিতে আবাদ কিভাবে করবেন কৃষক। এতে করে যে
উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা সহজেই অনুমেয়।
আমরা চাঁদপুরের অনেক সার কেলেঙ্কারী দেখেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে। সার নিয়ে তেলেসমাতি বন্ধ হয়নি আজও।
পরিবহন ঠিকাদাররা টিএসপি-ডিএপি সার পৌঁছে দিলেও এমওপি পৌঁছানো হচ্ছে অল্প করে। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, অবৈধভাবে খোলাবাজারে বা মাছের খামারগুলোতে সার
বিক্রি করে দিতে এমন কৃত্রিমসঙ্কট তৈরি করেন তারা। বিশেষ করে মাছের ঘেরে সার বিক্রি করে বেশি দাম পাওয়া যায়। মাছের ঘেরে সরকারের সার বরাদ্দ না থাকায় এমন সুযোগ
নিয়ে থাকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্যনিরাপত্তার অনিশ্চয়তায় কৃষি খাত সব দেশের জন্য সবচেয়ে বড় ভরসাস্থল। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়,
সার পরিবহনে ঠিকাদারদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) প্রভাবশালী অনেক নেতা এই অনিয়মের সাথে জড়িত। সংগঠনটির কাছে সরকারি
কর্মকর্তারাও অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়েন, কেউ অবৈধ আর্থিক সুবিধা নেন। তাই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে প্রয়োজন, যারা সারের কৃত্রিমসঙ্কট তৈরি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর
ব্যবস্থা নেয়া। তা না হলে আমাদের খাদ্যনিরাপত্তা আরো ঝুঁকিতে পড়বে।