খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলায় কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে

কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর দেশ বললেও এখন আর সেটা আর কোন অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না। আমাদের খাদ্যপণ্যে আমদানিনির্ভরতা কাটানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের জমি উর্বর। যথাযথ পদক্ষেপ নিলে খাদ্যপণ্যে আমাদের স্বয়ংসর্ম্পূতা অর্জন করা সম্ভব। দেশে চাষযোগ্য জমির উল্লখযোগ্য অংশ এখনো চাষের আওতার বাইরে; উল্লেখযোগ্য অংশ জমিতে বছরে মাত্র একটি ফসল ফলানো হয়। কখনো কখনো কৃষক ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন। এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সরকার অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। খাদ্য সহায়তার আওতায় চাল, চিনি, ভোজ্যতেলের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার দেওয়াও জরুরি। একই সঙ্গে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের দেশের কৃষি খাত বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লবণাক্ততার কারণে দেশের উপকূলীয় এলাকায় মানুষ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় শস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণেও সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এজন্য সবার আগে কৃষি জমি রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি সাম্প্রতিক সময়ে যে হারে কৃষি জমি ভরাট হয়ে যাচ্ছে তাতে সঙ্কা আরো গভীর হচ্ছে। এই পরিস্থিতি অবশ্যই সারা দেশেই বিরাজ করছে বলেই মনে হচ্ছে। তাই আমরা মনেকরি খাদ্য সংকট মোকাবেলায় অবশ্যই সবার আগে কৃষি জমি রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *