খেলাপি ঋণ : দায়ীদের খুঁজে বের করুন

কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল :

বর্তমান সরকারের আমলে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে ব্যাংকিং খাত। রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণের অঙ্ক বেড়েই চলেছে। গতকাল আমাদের সময়ের এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের খেলাপি গ্রাহককে বারবার ‘নন-ফান্ডেড’ ঋণ সুবিধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি কোনো নিয়মনীতি।

ব্যাংক কোম্পানি আইন লঙ্ঘন ও প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে ‘উদার হস্তে’ ব্যাংকটির ওই শাখা খেলাপি গ্রাহককে বারবার নন-ফান্ডেড সুবিধা দেয়। এর পর গ্রাহকের পক্ষে সেই দায় নিজের কাঁধে নিয়ে ডিমান্ড লোন সৃষ্টির মাধ্যমে পাওনাদারকে অর্থ পরিশোধ করে। কিন্তু রপ্তানি ব্যর্থতার অজুহাতে গ্রাহক আর ওই অর্থ পরিশোধ করেননি। ফলে সুদসহ গ্রাহকের কাছে ওই শাখার পাওনা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা। এসব পাওনার বিপরীতে ব্যাংকের কাছে গ্রাহকের যে সহায়ক জামানত রাখা আছে, এর মূল্যও নামমাত্র। ফলে পাওনা আদায় নিয়েও ঝুঁকি রয়েছে।

মূলত দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিং খাতে যে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে এবং গুরুতর অনিয়ম ও বিচ্যুতিকে যেভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে, তা ব্যাংকিং খাতের সংকটকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। আমরা মনে করি- এই অব্যবস্থাপনা বা অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প নেই। অন্যায় করে কেউ পার পেলে অন্যরাও অন্যায় করতে উৎসাহিত হয়। তাই আর ছাড় নয়, কঠোর পদক্ষেপ নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *