বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে যে বিষয়টি গরুত্ব দেয়া প্রয়োজন
কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের বেশি সুযোগ রয়েছে সরকারি বিভিন্ন অফিস ও তাদের কর্মকর্তাদের বিলাসিতা বন্ধ করে। সাধারণ মানুষ নিজে থেকে এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অপচয় করে না। সরকারি সিদ্ধান্তের লক্ষ্য সাধারণ মানুষ।
আমাদের জ্বালানি খাত যে নাজুক তার প্রমাণ সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্তগুলো। অথচ এই সরকার সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে এ খাতে। এ পর্যন্ত যে খরচ হয়ে গেছে এবং আরো যেসব খরচ এ খাতে হতে চলেছে তার ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতি ভবিষ্যতে বড় চাপের মধ্যে পড়বে। কুইক রেন্টাল খাতের অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রেখে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতি বছর ব্যয় করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, জনগণের নামে এত খরচ করার পরও কেন এই খাতটি এতটা নাজুক হয়ে থাকল। জ্বালানি সঙ্কটের কারণে একটি দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা যেকোনো সময় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে
পারে। আমরা আশা করব, সরকারের বোধোদয় হবে। শ্বেতহস্তী পোষা বাদ দিয়ে সরকার টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলায় আন্তরিক হবে।
এছাড়া চাঁদপুরে যে পরিমান লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে তা কারো প্রত্যাশা নয়। কারণ চাঁদপুরে যে পরিমান বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় তাতে লোডশেডিং হওয়া কথা নয়। কিন্তু জাতীয় গ্রিডে চলেগেলেও স্থানীয় সেন্টিমেন্ট মূল্যায়ণ করা জরুরী। কারণ বাতির নিচে অন্ধকার থাকা কারো কাম্য নয়। তাই পাবলি সেন্টিমেন্ট ধরে রাখার প্রতিও নজর দেয়া প্রয়োজন বলে মনেকরছি।