চলতি মাসেই মাধ্যমিকে পুরোদমে ক্লাস

স্টাফ রিপোর্টার চলতি মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে পুরোদমে ক্লাস শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শুক্রবার সকালে রাজধানী গুলশানের এক বেসরকারি হোটেলে ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এডুকেশন ফেয়ার-২০২২’-এর উদ্বোধন শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাধ্যমিকে পুরোদমে ক্লাস শুরু করতে পারব। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট দরকার হলে দেব।’

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দিয়েছে, সেই সিলেবাসেই তাদের ভর্তি পরীক্ষা হওয়া উচিত। এর আগে দীপু মনি ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টল পরিদর্শন করেন। স্টলগুলোতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন। করোনা সংক্রমণের কারণে দুই বছর দুই ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। সবশেষ গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু করা হয়েছে। এই ধাপে করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যদের বাড়িতে বসে অনলাইনে ক্লাস করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজে পাঠদান করতে কড়া নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।অচিরেই মিলবে তিস্তা সমস্যার সমাধান
কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ দিবসের দ্বিতীয় দিনের শেষ অনুষ্ঠানে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কবি কামাল চৌধুরীর ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’, ইংরেজি অনুবাদ ‘টুঙ্গি পাড়ার গ্রাম থেকে’ এবং ‘শান্তিনিকেতন বাংলাদেশ ভবন’সহ বেশ কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এরপর এক প্রশ্নের উত্তরে দীপু বলেন, আমি মনে করি ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ও প্রাণবন্ত। আমাদের দুই দেশের মানুষ, রাজনৈতিক দল এবং যারা একাডেমিতে আছে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সব পর্যায়েই দুই দেশের সুসম্পর্ক আছে। ১৯৭১ সাল থেকে যে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছে তা সহজে নষ্ট হওয়ার নয়।
তিস্তা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে কোনো নদী, সেটি যেখান থেকে বয়ে যায়, তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যত জনপদ দিয়ে প্রবাহিত হয়, সব জনপদের মানুষের সেই পানির ওপর অধিকার আছে, নদীর ওপর অধিকার আছে। আমি বিশ্বাস করি ভারত-বাংলাদেশের যে মৈত্রীর সুসম্পর্ক আছে তাতে এ সমস্যার অচিরেই সমাধান হবে।
এদিনের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য আরমা দত্ত এমপি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান, কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *