চাঁদপুরের প্রবীণ শিক্ষাবিদ বিজয় চন্দ্র দে আর নেই

চলে গেলেন চাঁদপুরের প্রবীণ শিক্ষাবিদ বিজয় চন্দ্র দে। সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রত্যাশী গ্রামের বাড়িতে মারা যান। এক শ দুই বছর বয়সী এই প্রবীণ ব্যক্তিত্ব দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। প্রায় আট দশক ধরে শিক্ষকতা করেন বিজয় চন্দ্র দে।

প্রবীণ এই শিক্ষাবিদের নিকটাত্মীয় রিমি দে জানান, গত কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন বিজয় চন্দ্র দে। এমন পরিস্থিতিতে তার সন্তান, আত্মীয়-স্বজন এবং ছাত্ররা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিলেও তাতে সাড়া দেননি তিনি। বিজয় চন্দ্র দে‘র ভাবনা একটাই ছিল, যে মাটিতে জন্ম নিয়েছেন সেই গ্রামের নিভৃত পল্লীতে থেকে পৃথিবীর আলো বাতাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চান তিনি। তাই তার শেষ অন্তিম ইচ্ছাই পূর্ণ হলো বলে জানান রিমি দে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯১৯ সালে জন্ম নেওয়া বিজয় চন্দ্র দে স্নাতক সম্পন্ন করে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকতা করলেও ষাটের দশক থেকে নিজ এলাকায় শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি।

এসময় চাঁদপুরের প্রত্যাশী ও ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে পর পর প্রধান শিক্ষকের পদে দায়িত্ব পালন করেন। জীবনের শেষ বয়সে এসে ফরক্কাবাদ কলেজে শিক্ষকতাও করেন তিনি।

বিজয় চন্দ্র দে‘র ছাত্র-চাঁদপুর পুরানাবাজার কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক হাবিবুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ইংরেজি বিষয়ের একজন দক্ষ শিক্ষক ছিলেন বিজয় স্যার। এই শিক্ষা গুরুর হাতে গড়া শত শত শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত আছেন বলেও জানান হাবিবুর রহমান পাটোয়ারী।

ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক কবির ওসমানী বলেন, বিজয় চন্দ্র দে ছিলেন এই অঞ্চলে শিক্ষাবিস্তারে এক আলোকবর্তিকা। এমন একজন গুণী মানুষের প্রয়াণে আমরা একজন প্রবীণকে হারালাম।

এদিকে, দেশ এবং দেশের বাইরে থাকা তার সন্তানরা পৌঁছালে সোমবার বিকেলেই বিজয় চন্দ্র দে‘র গ্রামের বাড়ির শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

প্রবীণ শিক্ষাবিদ বিজয় চন্দ্র দে মৃত্যুকালে চার ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য ছাত্রছাত্রী এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

স্টাফ রিপোটার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *