চাঁদপুরে অসংখ্য হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক অনুমোদনহীন

স্টাফ রিপোর্টার লাইসেন্স ছাড়াই চলছে অসংখ্য হাসপাতাল। অসংখ্য অনিয়ম এবং অভিযোগ রয়েছে চাঁদপুরে অসংখ্য হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেনি। জেলায় তালিকার বাইরেও অসংখ্য হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্স ছাড়া চলছে।
চাঁদপুর সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর সদরে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক হচ্ছে ১০১টি। এরমধ্য লাইসেন্স বিহীন ১৫ টি। সোমবার চাঁদপুর সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো রোগীদের সাথে বিভিন্ন অজুহাতে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন দক্ষ চিকিৎসকের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে এবং তারা সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
লাইসেন্স বিহীন হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলো হলো: আল নাহিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তিতাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রিম টাচ্ ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, মেডি-এইডস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল-রাফি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মাতৃছায়া হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেরিন হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হলি ফ্যামিলি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চাঁদপুর জমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডি কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাজ ডক্টরস কনসালটেশন সেন্টার।
লাইসেন্স নেই চাঁদপুরে অসংখ্য হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এদিকে অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো রোগীদের সাথে বিভিন্ন অজুহাতে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। যার ফলে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে এবং তারা সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এদিকে খবর নিয়ে জানা যায় অনেক হাসপাতাল লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। তাদের অভিযোগ আবেদন করেছি যথা সময়ে কিন্তু আমাদেরকে লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে না। অপর দিকে লাইসেন্স প্রদাকনীর সংস্থার পক্ষ থেকে সূত্রে প্রকাশ আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ নিয়ম মেনে আবেদন না করার কারণে বার বার তদন্ত করেও তাদের কোন উন্নতি না হওয়ার কারণে অনুমোদন দেয়া যায়নি। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার নিয়ম মেনে হাসপাতাল স্থাপন করা হলে অবশ্যই আবেদন অনুযায়ী অনুমোদন দেয়া হবে।
অনুমোদনহীন এসব হাসপাতালের যেসব মান থাকা দরকার তা নেই। এর ফলে রুগীরা প্রতারাতি হচ্ছে। একটি পুর্ণাঙ্গ হাসপাতালের ঘোষণা দিয়ে সেখানে যথাযথ নিয়মে ওটি, ল্যাব এবং ব্যাড স্থাপন করা হচ্ছে না। এমনটি অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তার ও টেকনিশিয়ান ছাড়াই অনেক হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে।
রেফারকারী ডাক্তার তথা কোয়াক ডাক্তারদের কমিশন বানিজ্যে রোগীদের গলাকাটা হচ্ছে। মানুষ অসুস্থ হয়ে মানবিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় হাসপাতালের আসলে যা চায় তাহাই দিতে বাধ্য হয়ে যায়। কোন অসহায় রোগীদেরকেও এর জন্য ছাড় দিচ্ছে না কেউ।
তাই প্রাইভেট হাসপাতালগুলো শুধু অনুমোদনের আওতায় আনলেই চলবে না তাদেরকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষন এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা ফি এবং অপারেশন ফি নির্দিষ্ট করে দেয়া অপরিহার্য। আর না হয় যে যার মতো করে টাকা হাতিয়ে নিবে এটাই স্বাভাবিক। এমনটাই মনেকরছেন বিশেষজ্ঞরা।
হাসপাতাল বানিজ্যে সিংহভাগের সাথে জড়িত ডাক্তাররাই। যারা মালিক পক্ষের কোন তদারকি কিংবা অনিয়মের প্রতিবাদ না করে নিজের চাহিদা অনুযায়ী টাকা নিয়ে এবং রেফার ফি নিয়ে নিজের আখের গোছানোয় ব্যাস্ত হয়ে পড়েন বলে মনেকরছেন অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *