চাঁদপুরে পেঁয়াজ-রসুনের লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার মে.টন

চাঁদপুরে চলতি রবি মৌসুমে ২০২১-২০২২ জেলার সব ক’টি উপজেলায় পেঁয়াজ-রসুনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার মে.টন এবং চাষাবাদ ১ হাজার ৪শ ৩৫ হেক্টর জমি। তবে সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হচ্ছে হাইমচর ও এর চরাঞ্চলগুলো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি চাঁদপুরের সংশ্লিষ্ট একজন কৃষিবিদ চাঁদপুর টাইমসকে ১ ডিসেম্বর জানিয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে,চাঁদপুরে এবার সব উপজেলায় পেঁয়াজ-রসুনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার মে.টন এবং চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৪শ ৩৫ হেক্টর।

এর মধ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন হলো ৯ হাজার ৪শ ৫০ মে.টন এবং চাষাবাদ হলো ১ হাজার ৫০ হেক্টর। রসুনের উৎপাদন হলো ২ হাজার ৬শ ৬৭ মে.টন এবং চাষাবাদ হলো ৬শ ৮৫ হেক্টর ।

২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৪% রেয়াতি সুদে ডাল, তেল মসলা ও ভূট্টা চাষাবাদে চাঁদপুরের ব্যাংকগুলো প্রায় ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে এবং কৃষকদের ঋণপ্রদান কাজ চলমান বরে জানা গেছে ।

ঔ কৃষিবিদ আরোও জানান,‘উৎপাদনে পেঁয়াজ-রসুন চাষাবাদে কৃষকগণ জমি প্রস্তুত করতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে সময়মত চাষাবাদ করা হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।উৎপাদিত পেঁয়াজ-রসুন বাজারে আসামাত্র বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে । আমদানি নির্ভরশীলতা কমে আসবে।’

চাঁদপুর জেলার হাইমচর এর বাবুরচর,মধ্যচর,ঈশানবালা ও মাঝির বাজার,চাঁদপুর সদরের ফতেজঙ্গপুর, রাজরাজেশ্বর, জাহাজমারা, মতলব উত্তর বোড়োচর,চর ইলিয়াড,সবজি কান্দি প্রভৃতি এলাকার চরাঞ্চলের কৃষকগণ ব্যাপকহারে পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ করে থাকে।

এছাড়াও চাঁদপুর জেলার নদীভাঙ্গন ও নদী তীরবর্তী ইউনিয়নগুলোতে নদীর তীরে পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ হয়ে থাকে।এগুলোর মধ্যে রয়েছে- হাইমচরের চরভৈরবি,চাঁদপুর সদরের ইব্রাহিমপুর, রাজরাজেশ্বর,বিষ্ণুপুর এবং মতলব দক্ষিণ সবজিকান্দি ও উত্তরের মোহনপুর,জহিরাবাদ ও একলাশপুর প্রভৃতি ইউনিয়নের নদীরতীরে ও একটু ভেতরে ব্যাপক হারে পেঁয়াজ-রসুন নিজ উদ্যোগেই কৃষকগণ চাষাবাদ করে থাকে বলে জানা যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি চাঁদপুরের ২০২১-২২ এর বার্ষিক মৌসুমি রবি ফসলের আবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে ।

স্টাফ রিপোর্টার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *