চাঁদপুরে লকডাউনে বহিরাগত যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাস ফেরি পারাপারে ব্যাপক চাঁদাবাজি

চাঁদপুরে লকডাউনে বহিরাগত যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাস ফেরি পারাপারে ব্যাপক চাঁদাবাজি
চাঁদপুরে লকডাউনে বহিরাগত যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাস ফেরি পারাপারে ব্যাপক চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোটার-চাঁদপুর হরিনা ফেরি ঘাটে ইজারাদার প্রতিনিধিদের ব্যাপক চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চালকরা। সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে লকডাউনের সময় মাইক্রো ও হাইস গাড়ি থেকে গাড়ি প্রতি ২/৩ হাজার টাকা করে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।চাঁদাবাজির টাকা ঠিকাদার প্রতিনিধিরা সহ কয়েকজন প্রতি রাতে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।কোভিট ১৯ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দ্বিতীয় ধাপে দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার সারা বাংলাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেন। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সকল ধরনের যাত্রীবাহী বাস মাইক্রোবাস ব্যক্তিগত গাড়ি মুভমেন্ট পাস ছাড়া এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চলাচল করতে পারবে না।চাঁদপুরে করণা আক্রান্ত হয়ে এ যাবতকালে অনেক মানুষের জীবন গেছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার সারা বাংলাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেন। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সকল ধরনের যাত্রীবাহী বাস মাইক্রোবাস ব্যক্তিগত গাড়ি মুভমেন্ট পাস ছাড়া এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চলাচল করতে পারবে না।

চাঁদপুরে লকডাউনে বহিরাগত যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাস ফেরি পারাপারে ব্যাপক চাঁদাবাজি
চাঁদপুরে লকডাউনে বহিরাগত যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাস ফেরি পারাপারে ব্যাপক চাঁদাবাজি

বাংলাদেশের প্রতিটি ফেরিঘাটে নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও চাঁদপুর হরিনা ফেরিঘাটের টিকেট মাস্টার ও ঘাট ইজারাদারের প্রতিনিধিরা যোগসাজশে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রতি রাতে প্রায় শতাধিক যাত্রীবাহী মাইক্রো, হাইস গাড়ি ও ব্যক্তিগত গাড়ি মুভমেন্ট পাস ছাড়া পারাপার হচ্ছে।হরিনা ঘাট ইজারাদারের প্রতিনিধি মেম্বার বাসার দর্জি(৪২),তার ভাই শাহজালাল দর্জি (৩০),মহসিন(৪২),আলমগীর চকিদার (৪০), শাহজালাল দর্জি (৩০),জসিম ডালি(৩৫),সেন্টু(৪২) ফেরি ঘাটে প্রতিরাতে লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী চালকরা। যাত্রীবাহী মাইক্রো ও হাইস গাড়ি পারাপারের জন্য গাড়ি ও প্রতি ২২০০ থেকে ৩ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতিদিনই চাঁদা উত্তোলন নিয়ে ঠিকাদার প্রতিনিধিদের সাথে মারা মারির ঘটনা ঘটছে। তারা সঙ্গবদ্ধ হয়ে চালকদের উপর হামলা চালিয়ে চাঁদা উত্তোলন করছে।সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে প্রায় শতাধিক মাইক্রো ও হাইস গাড়ি যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম বরিশালের উদ্দেশ্যে চাঁদপুর হরিনা ফেরিঘাট হয়ে যায়। হরিনা আসার পরে ওই চাঁদাবাজরা গাড়ি থেকে চাঁদা তুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠে।এক জেলা থেকে অন্য জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী হরিনা ফেরিঘাট দিয়ে যাতায়াত করার কারণে চাঁদপুরে করোনা ভাইরাসে অনেক লোক আক্রান্ত হচ্ছে।মাইক্রোবাস চালক মহিন ও জামাল সহ বেশ কয়েকজন জানান, লকডাউন চলাকালীন সময়ে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকার কারণে বিকল্প হিসেবে মাইক্রো ও হাইস গাড়ি দিয়ে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। হরিনা ফেরি ঘাটে আসলেই ইজারাদার প্রতিনিধি মহসিন ও বাশার আমাদের কাছ থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যেখানে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি গাড়ি থেকে ১১০ টাকা নেওয়ার কথা রয়েছে সেখানে তারা এভাবেই হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজি করছে। চট্টগ্রাম থেকে আসা বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকার কারণে হাইস গাড়িতে জনপ্রতি তিন হাজার টাকা করে ১৮ জন যাত্রীর কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা ভাড়া নিয়ে বরিশাল ও খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মুভমেন্ট পাস না থাকলেও হরিনা ফেরিঘাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি ও টিকেট মাস্টারকে গাড়ি প্রতি তিন হাজার টাকা করে দিলে তারা ফেরি দিয়ে পারাপার করে দেয়।হরিনা ফেরি ঘাটে জেলা পুলিশের চেক পোস্ট বসিয়ে বহিরাগত যাত্রীবাহী গাড়িগুলো ফেরি ঘাট দিয়ে পারাপার করতে না দেওয়া হলে চাঁদপুর থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। ফেরি টিকিট মাস্টার রাসেল জানান, মুভমেন্ট পাস ছাড়া যে কোন গাড়ি ফেরিতে উঠালে আমরা টিকিট দিতে বাধ্য। বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার ফয়সাল আমাদের এই নির্দেশনা দিয়েছেন। সবকিছুই ইজারাদারের প্রতিনিধি করে থাকে।এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার ফয়সাল জানান, মুভমেন্ট পাস ছাড়া কোন যাত্রীবাহী গাড়ি ফেরি পারাপার করার সুযোগ নেই। অনেক মাইক্রো বাস যাত্রী নিয়ে পারাপার করছে এই খবর জেনেছি। যে সকল গাড়ির মুভমেন্ট পাস নেই সেগুলো পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ফেরি পারাপার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *