চাঁদপুরে সয়াবিনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৩ হাজার মে.টন

আবদুল গনি চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা,পদ্মা,মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে।সয়াবিন বর্তমানে একটি অন্যতম ফসল হিসেবে খ্যাত।চলতি বছরও এ জেলার ৩ টি উপজেলায় এ সয়াবিনের চাষাবাদ হয়েছে। চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলা। এর মধ্যে হাইমচরে সবচেয়ে বেশি সয়াবিন চাষাবাদ হয়ে থাকে। চাঁদপুরে ধান,পাট,আলু, পেঁয়াজ,রসুন,সরিষা এর পরে সয়াবিনের স্থান ।

এ বছর চাঁদপুরের ২ উপজেলায় চাঁদপুর সদরে ও ফরিদগঞ্জে ৩ শ ৩০ শ মে.টন সয়াবিন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬ শ ২৭ মে.টন হেক্টর । হাইমচরে ১ হাজার ৪ ম ২০ হেক্টর চাষাবাদ এবং উৎপাদন দরা হয়েছে ২ হাজার ৬শ ৯৮ মে.টন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে এ তথ্য জানা গেছে ।আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ,পরিবহনে সুবিধা,কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ,কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত, কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা,বীজ,সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ,ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষিরা ব্যাপক হারে সরিষা চাষ করছে।বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলিতে ব্যাপক হারে সয়াবিন উৎপাদন করে থাকে চাষীরা। অতীব দু:খের বিষয়-নদী তীরবর্তী হওয়ায় চরাঞ্চলের চাষীদের কৃষিঋণ দিচ্ছে না ব্যাংকগুলো।চরাঞ্চলগুলো হলো-চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর,জাহাজমারা,ফতেজংগপুর,হাইমচরে নীলকমলের ঈশানবালা,চরগাজীপুর,মনিপুর,মধ্যচর,মাঝিরবাজার,সাহেববাজার ও বাবুরচর ইত্যাদি।এ ব্যাপারে চাঁদপুর কৃষি বিভাগের কৃষিবিদ আবদুল মান্নান চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘চাঁদপুর জেলার মধ্যে হাইমচরেই সবচেয়ে বেশি সয়াবিন হয়ে থাকে। চরাঞ্চলের কারণে সেখানকার আবহাওয়া ও মাটি সয়াবিন চাষের উপযোগী। সয়াবিন বর্তমানে দেশের একটি অর্থকারী ফসল হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে । সয়াবিন কেবলমাত্র পশু ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় কৃষকরা যথাযথ মূল্য পাচ্ছে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *