স্টাফ রিপোটার-চাঁদপুর হরিনা ফেরিঘাটের পুরনো পন্টুন ঘাটে অ্যাপ্রচ রাস্তা ১২ ফুট পাশ বাড়িয়ে টেকসই করতে ইট বালুর সাথে বাঁশ দিয়ে কাজ করা হচ্ছে । হরিনা ফেরিঘাটের দুটি রাস্তার মধ্যে পুরনো পল্টন ঘাটে এপ্রোচ রাস্তার কাজটি দ্রুত করা হচ্ছে।
৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারী রুবেল ফেরিঘাটের এপ্রোচ রাস্তার কাজটি করছেন। এলাকার মানুষের কৌতূহল ইটের খোয়া ও বালির সঙ্গে কেন বাঁশ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রতিটি ফেরিঘাটের এপ্রোচ রাস্তা টেকসই ও মজবুত করার ক্ষেত্রে ইট ও বালুর মধ্যে বাঁশের সাথে বাঁশ বেঁধে তার উপরে আবার ইটের খোয়া ফেলে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে।
সিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাস্তার বাঁশ বিছিয়ে ইটের খোয়া ফেলে হরিনা ফেরিঘাটের এপ্রোচ রাস্তা কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে কাজের স্থানে থাকা ঠিকাদার রুবেল জানান, পল্টুন গ্যাংওয়ের অ্যাপ্রচ রাস্তার এ কাজটি নিচে বাঁশ বিছিয়ে তার উপর ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে করতে হয়। বিআইডব্লিটিএ থেকে কাজটি এভাবেই ধরা রয়েছে। অন্যান্য ফেরিঘাটেও পন্টুন গ্যাংওয়ে ঘাট রাস্তার কাজ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। রাস্তাটির যেহেতু সিসি ঢালাই হচ্ছে না সেখানে খোয়া ও বালু সাথে রড দেওয়ার কোন যুক্তি নেই। রডের জায়গায় বাঁশ দেওয়া হয়েছে বলে অনেকেই ভুল করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।এ ব্যাপারে বিআইডব্লিটিএ চাঁদপুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফয়জুল্লাহ ওকারিগরি সহকারী আরিফ জানান, এখানে রডের বদলে বাঁশ দেওয়া হয়নি। ভুল বুঝে কিছু লোক বিভ্রান্তি করছে। ফেরিতে গাড়ি উঠানামার সুবিধার্থে নদীর পাড় রাস্তাটি এভাবেই তৈরি করতে হয়।
অন্যান্য ফেরিঘাটে যেভাবে কাজ করা হয়েছে তদ্রূপ সেভাবেই হরিনা ফেরিঘাট কাজ করা হচ্ছে। তবে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তারা ভুল করছে না জেনে না বুঝে এমনটি করছে।