চুল পড়া রোধে আমাদের করণীয়

চুলের সাথে সৌন্দযের্র একটা নিবির সম্পর্ক আছে। তাই আমরা সবায় চাই আমাদের চুল যেন ঝলমলে সুন্দর থাকে দীর্ঘদিন। কিš‘ আমরা যখন দেখি যে আমাদের চুল পড়ছে তখন উদ্বিগ্ন না হয়ে পাড়ি না। আমাদের জেনে রাখা দরকার যে চুল সবারই পড়ে আবার গজায় কিš‘ সেই চুল মাত্রাতিরিক্ত পড়লে তা একটি বড় সমস্যা। এইজন্য আমাদের আগে থেকেই সজাগ থাকতে হবে নইলে পরে কোন কিছুতেই আর সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবেনা। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে চুল পড়ার অন্যতম কারণ ভিটামিনের অভাব। এর পরের যে কারণ তা হল দু:চিন্তা, মানসিক অবসাদ, মানসিক চাপ, বিষণœতা ইত্যাদি। আমাদের সমস্যা সাংকুল জীবনে এইগুলির উপ¯ি’তি সর্বদা। তাই আমরা ই”ছা করলেও এই সকল সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবোনা কিš‘ মুক্ত থাকার চেষ্টা অন্তত করতে পারি!

চুল পড়া রোধে আমাদের করণীয় :
দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন কমপক্ষে ৭-৮ গ্লাস।
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার রাখুন আপনার দৈনন্দিন খাবার তালিকায়।
যতটা সম্ভব মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন।
ভেজা চুল তোয়ালে ঘষে ঘষে শুকাবেন না। এতে চুলের গোঁড়া নরম হয়।
অতিরিক্ত হেয়ার স্টাইল থেকে দুরে থাকুন।
তেল ব্যবহার করুন সপ্তাহে তিন দিন। নারকেল তেল, বাদাম তেল কিংবা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করুন রাতে ঘুমানোর আগে। সকালে চুলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে তিন দিন শ্যাম্পু করুন এর কমও না বেশীও না তবে যারা নিয়মিত চুলে তেল বা অন্যান্য কিছু ব্যবহার করেন তারা প্রতিদিন শ্যাম্পু করতে পারেন।
পেঁয়াজ বা রসুন কিংবা লেবু চিপে রস বের করে চুলে লাগান। তার ১৫-২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু বা তিন দিন এমটি করতে পারেন।
মেহেদী, স¤পরিমাণ মধু এবং অলিভ ওয়েল খুব ভালোকরে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক বা দু’দিন। এতে আপনার চুল ঝলমলে ও সুন্দর দেখাবে।
চিনি ছাড়া গ্রিনটি (এক কাপ পানিতে দুই ব্যাগ ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত) তৈরি করে হালকা গরম মাথায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন এবং ঘণ্টা খানেক পরে ধুয়ে ফেলুন। গ্রিন টিতে প্রচুর অক্সিডেন্ট থাকে যা চুল পড়া রোধ করে এবং চুল গজায়।
ধূমপান ত্যাগ করুন। ধূমপানের কারণে নতুন চুল গজানো বন্ধ হয়ে যায়। টাক পড়া অবশ্যম্ভাবী।

উপরোক্ত বিষয় গুলি খেয়াল রাখলে এবং সেই গুলি মেনে চললে আপনি নিশ্চিত সুফল পাবেন।

লাইফস্টাইল সময় ডেক্স, ২৪ আগস্ট ২০২১;

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *