কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাটকা নিধন অব্যাহত রয়েছে। চাঁদপুরের স্থানীয় দৈনিকগুলোর প্রতিদিনের খবরের চিত্র এটি। এই জাটকা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনও অত্যন্ত তৎপর। তারপরও জাটকা নিধন বন্ধ হচ্ছে না। কিন্তু কেন? এমন প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। আসলে জাটকা নিধন কখনই বন্ধ হবে না।
কারণ প্রথমত হচ্ছে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করবে এটাই স্বাভাবিক। যেহেতু জেলেদেরকে মাছ শিকার করতেই হবে তাই বেছে বেছে মাছ ধরা যায় না। তাই জাটকা নিধনও বন্ধ হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত হলো, জাটকা রক্ষায় যে মওসুমকে চিহ্নিত করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় সেই মওসুম এখন আর সুনির্দিষ্ট নেই। বলতে গেলে এখন বারো মাসই নদীতে ইলিশের ছোট ভার্সন জাটকা পাওয়া যায়।
যেহেতু জেলেরা একেবারেই পেশাজীবী তাই তাদেরকে জাটকা নিধনে সম্পূর্ণভাবে বিরত রাখা অসম্ভব। তাছাড়া এই জাটকা রক্ষা করতে গিয়ে সরকারের যেমন অর্থ ব্যায় হচ্ছে তেমনিভাবে জেলেদেরকেও লক্ষ লক্ষ টাকার জাল হারিয়ে নিঃস্ব হতে হচ্ছে। বলতে গেলে জাটকা রক্ষা করতে গিয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। একদিকে জাটকা রক্ষা করে দেশের সম্পদ রক্ষা করা হচ্ছে। এটাকে দেখা হচ্ছে বৃহত্তর স্বার্থ হিসেবে আবার জেলেদের জাল ধংস করা হচ্ছে এবং এর পেছনে অর্থ ব্যায় করা হচ্ছে। এতেও দেশের স্বার্থই ব্যহত হচ্ছে তথা দেশের সম্পদই ধংস করা হচ্ছে।
এর থেকে উত্তোরনের পথ খোঁজতে হবে সরকারকে। সরকারকে বঝুতে হবে জেলেরাও আমাদের ইলিশও আমাদের। দুটাই রক্ষা করতে হবে। এর জন্য যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য।