কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল ট্রেনের যাত্রীদের নানামুখী দুর্ভোগ লেগেই আছে। একটা পর একটা আলোচিত হচ্ছে। কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধানের লক্ষ্য নেই। ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগের অবসান হচ্ছে না। গত বুধবার ঘোষণা ছাড়াই সারাদেশে ট্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। রেলওয়ে রানিং স্টাফদের (ট্রেনচালক, চলাচল বন্ধ হওয়ায় স্টেশনে এসে সহকারী চালক, গার্ড ও টিটি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ক্ষোভ পরিদর্শক-টিটি) ডাকা এ ধর্মঘটের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
গেলো বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে কোনো স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়েনি। ছয় ঘণ্টা পর ট্রেন চালু হলেও শিডিউল বিপর্যয়ে সারাদিন চরম দুর্ভোগ পোহান যাত্রীরা। স্টেশনে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে অনেকেই ফেরত যান। প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ করে কেন ধর্মঘট ডাকা হলো। যাত্রীদের দুর্ভোগের দায়ভার কে নেবে। পূর্ব ঘোষণা থাকলে যাত্রীদের এমন দুর্ভোগের শিকার হতে হতো না। এজন্য কর্তৃপক্ষই দায়ী। ট্রেনে কী ধরনের যে অব্যবস্থাপনা চলছে তা বলে শেষ করা যাবে না। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করা বন্ধ করে দেবে। তাই ট্রেনের সব ধরনের অব্যবস্থাপনা দূর করতে হবে। আর বিশেষ করে ঈদের আগে যাত্রীদের যেন কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার না হতে হয় সেই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের মাথায় রাখতে হবে। সরকার একটু আন্তরিক হলেই যাত্রীরা ভোগান্তি থেকে লাঘব পাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, কোনো সরকার এখন পর্যন্ত সেই আন্তরিকতার পরিচয় দেয়নি। তবু আমরা আশা করব, ঘরমুখো মানুষের ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন ও বিড়ম্বনা দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঈদকে সামনে রেখে চাঁদপুর যাতায়াতকারী মানুষের ভোগান্তি লাঘবে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবী।