তিন উপজেলার ২৯ ইউপিতে ১০ নৌকা ১৯ স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়

সারাদেশের মতো পঞ্চম ধাপে চাঁদপুর জেলার ৩টি উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। এর মধ্যে কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও ভোটাররা ভোট দিয়েছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই। গতকাল রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী ২৯টি ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন যারা তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে তুলে ধরা হলো।

ফরিদগঞ্জের ১৩ ইউপিতে নির্বাচিত হলেন যারা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পঞ্চম ধাপে ১৩ ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩ ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা মার্কা ও স্বতন্ত্র ১০জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা হয়।

নির্বাচনে বিজয়ীরা হলেনঃ

বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন স্বপন(প্রাপ্ত ভোট ৮১১৮, প্রতীক -আনারস) ,নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাহাউদ্দিন (প্রাপ্ত ভোট ৩৫৬৯, প্রতীক -নৌকা)।

বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ(প্রাপ্ত ভোট -৪৯৫০, প্রতীক -আনারস), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইব্রাহিম (প্রাপ্ত ভোট ৩১১৭, প্রতীক -মোটর সাইকেল)।

সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেলায়েত হোসেন(প্রাপ্ত ভোট ৩৪০০, প্রতীক -চশমা), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন (প্রাপ্ত ভোট ৩৩৩৫, প্রতীক -আনারস)।

সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মহসীন হোসেন (প্রাপ্ত ভোট ৪৯৭২, প্রতীক -আনারস), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জসিম উদ্দিন (প্রাপ্ত ভোট ৩৫২৯, প্রতীক -চশমা)।

গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান পাটওয়ারী (প্রাপ্ত ভোট ৩৫২৫, প্রতীক -চশমা), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাফিজুর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ৩১৫৭, প্রতীক -ঘোড়া)।

গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী বুলবুল আহমেদ (প্রাপ্ত ভোট ৩২৭৫, প্রতীক -আনারস),নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্বাস (প্রাপ্ত ভোট ৩১৯০, প্রতীক -মোটর সাইকেল)।

পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তাহের পাটওয়ারী(প্রাপ্ত ভোট ৩৯৪৯, প্রতীক -মোটর সাইকেল), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল ইসলাম (প্রাপ্ত ভোট ২৬১১, প্রতীক -আনারস)।

গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী শাহআলম শেখ (প্রাপ্ত ভোট ৪৩৭৯, প্রতীক -চশমা), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোহেল চৌধুরী (প্রাপ্ত ভোট ৩১৩৮, প্রতীক -নৌকা)।

গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলাউদ্দিন ভূঁইয়া (প্রাপ্ত ভোট ৩১৩৬, প্রতীক -নৌকা), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হুমায়ুন কবির (প্রাপ্ত ভোট ৪৬৯৪, প্রতীক -চশমা)।

চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মিরাজ(প্রাপ্ত ভোট ৫৪৮৪, প্রতীক -নৌকা), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (প্রাপ্ত ভোট ৪৭০৪, প্রতীক -আনারস)

চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শাহজাহান (প্রাপ্ত ভোট ৫০৬০, প্রতীক -আনারস) ,নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ২৩৯৩, প্রতীক -মোটর সাইকেল)।

রূপসা উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী কাউছারুল আলম কামরুল (প্রাপ্ত ভোট ৪০৪১, প্রতীক -মোটর সাইকেল), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর ফারুক(প্রাপ্ত ভোট ৩৭৪২ , প্রতীক -নৌকা)।

রূপসা দক্ষিণে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মো: শরীফ হোসেন (প্রাপ্ত ভোট ২৭৫১, প্রতীক -নৌকা) , নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বীআ: কাদের (প্রাপ্ত ভোট ১৪১০, প্রতীক -আনারস) ।

কচুয়ার ১২ ইউপিতে নির্বাচিত হলেন যারা

চাঁদপুরের কচুয়া উপঝেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে ১২ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এতে নৌকা মার্কায় ৩জন, স্বতন্ত্র ৭জন ও একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা হলেন-

সাচার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (ঘোড়া) মনির হোসেন, পাথৈর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (আনারস) আলী আক্কাস মোল্লা, বিতারা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (ঘোড়া) ইসহাক সিকদার, পালাখাল মডেল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (ঘোড়া) হাবিব মজুমদার জয়, পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নে (নৌকা) আলমগীর হোসেন, উত্তর কচুয়া ইউনিয়নে (নৌকা) আখতার হোসাইইন, কচুয়া দক্ষিণ ইউনিয়নে (চশমা) খন্দকার আরিফুজ্জামান আরিফ।

কাদলা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (আনারস) নূরে-ই আলম রিহাত, কড়ইয়া ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় (নৌকা) আবদুস সালাম সওদাগর, গোহট উত্তর ইউনিয়নে (নৌকা) কবির হোসেন, গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নে (নৌকা) আমির হোসেন, আশ্রাফপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঘোড়া) গোলাম মাওলা হেলাল মুন্সী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

কচুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছে। কোথাও কোন তেমন কোন সহিংসতা হয়নি।

হাইমচরে ৪ ইউপিতে নির্বাচিত হলেন যারা :

হাইমচরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪ ইউনিয়নের নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের নৌকার ২ জন, স্বতন্ত্র ২ জন চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ। নির্বাচনে উপজেলার ৪ ইউনিয়নের মোট ২৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকল কেন্দ্রেই ছিলো ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোটারগন তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পেরে মহা খুসিতে আত্মহারা সাধারণ জনগন।

২ নং আলগী উত্তর ইউনিয়নে ৬৯০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা যুবলীগ সাবেক সভাপতি মো. আতিকুর রহমান পাটোয়ারী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাকসুদ আলম খান পেয়েছেন ৪৩৫৬ ভোট। হাবিবুর রহমান বেগ মটর সাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৯৮১, হাতা পাখা প্রতীকের প্রার্থী রুহুল আমিন পেয়েছেন ১১২৪ ভোট, আনারস প্রতীকের আব্দুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী পেয়েছেন ২১৬ ভোট।

৩ নং আলগী দক্ষিন ইউনিয়নে স্বতন্ত্র থেকে সরদার আব্দুল জলিল আনারস প্রতীক নিয়ে ১০১১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের সাহাউদ্দিন টিটু পেয়েছেন ৫৪৪৭ ভোট, হাতপাখা প্রতীকের সবুজ পেয়েছেন ৩৪৪ ভোট, চশমা প্রতীকে নুরে আলম জিকু পেয়েছেন ২৩ ভোট।

৪নং নীলকমল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র থেকে আনারস প্রতীকে সউদ আল নাছের ৫৩০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা মার্কার প্রার্থী সালাউদ্দিন সরদার পেয়েছেন ২৯৯৪ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ইয়াছিন রতন পেয়েছেন ৮৭৩ ভোট, হাতপাখা মার্কার রায়হান উদ্দিন পেয়েছে ১৭৩ ভোট, নাঙ্গল প্রতীকে আবু সুফিয়ান মাঝি পেয়েছে ৩৭ ভোট।

৫ নং হাইমচর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে জুলফিকার আলী জুলহাস সরকার ১২৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকে মনজুরুল হক নাঈম সরকার পেয়েছেন ১২১১ ভোট, আনারস প্রতীকে আব্দুল হক মোল্লা পেয়েছে ১১৮২ ভোট, হাতপাখা প্রতীকে রাজা মিয়া সরদার পেয়েছে ১০৬ ভোট ও চশমা প্রতীকে শাহিন মিয়া পেয়েছেন ৪২ ভোট।

স্টাফ রিপোর্টার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *