নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল দাম বেড়েছে ডিম আটার

স্টাফ রিপোটার ক্রমাগত অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে নিত্যপণ্যের বাজার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চিন্তার ভাঁজ ফেলছে সাধারণ মানুষের কপালে। হুট করেই বেড়ে গেছে ডিম, আটা, চালসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আটার দাম বেড়েছে কেজিতে সাত থেকে আট টাকা। প্রতি কেজি আটার দাম এখন ৪৮ থেকে ৫২ টাকা, সাতদিন আগেও যা ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।

এছাড়া বেড়েছে ডিমের দামও। ১২০ টাকা ডজনের ব্রয়লার মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর দেশি মুরগীর ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়!শুক্রবার সরেজমিনে রাজধানীর কৃষি মার্কেট ও কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার বা লাল ডিম প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকায়, যার ফলে ডজনে ১০ টাকা দাম বেড়ে ১৩০ টাকা হয়েছে। সপ্তাখানেক আগে এই ডিমের ডজন ১২০ টাকায় বিক্রি হতো। এছাড়া দেশি মুরগির ডিম প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা করে। এর ফলে ডজনের দাম দাঁড়িয়েছে ১৮০ টাকায়। কোথাও তা ১৯০ থেকে ২০০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিনকার এ খাবারের এমন চড়া দাম দেখে অবাক ক্রেতারা।কৃষি মার্কেটে ডিম কিনতে আসা ক্রেতা খালেকুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে বলেন, প্রতিদিন সকালের নাশতায় ডিম তো নিয়মিত খাবার।

এছাড়া অন্যান্য সময়েও খাওয়া হয়। কিন্তু যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে ডিম খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।আরেক ক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, কম আয়ের মানুষদের জন্য ডিম সুলভ খাবার। আমরা যারা ব্যাচেলর বা পরিবার থেকে দূরে থাকি, তাদের খাবারের তালিকায় ডিমই আগে থাকে। এভাবে দাম বাড়লে তো ডিম খাওয়া ছাড়তে হবে।ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, পোলট্রি ফিডের কথা। কারওয়ান বাজারের ডিম ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বলেন, মূলত মুরগির খাবার বা পোলট্রি ফিডের দাম বেড়ে গেছে। এর ফলে পাইকারীতে ডিম কিনতে খরচ বেশি পড়ছে। এর প্রভাব খুচরো বাজারে পড়ছে।বাজারে বেড়েছে আটার দামও। বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহেও খোলা আটা বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৪৬ টাকায়। অন্যদিকে প্যাকেটজাত দুই কেজি আটা ৯৬ থেকে ৯৮ টাকা বিক্রি হতো। যার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়।

মূলত গত শুক্রবারে ভারত গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই দেশের বাজারে আটা-ময়দার বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।কৃষি মার্কেটের বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের ব্যবসায়ী আজমল হক বলেন, ভারত থেকে আটা আসা বন্ধ হওয়ায় ইচ্ছে মতো দামে আটা বিক্রি করছে মিলমালিক আর পাইকাররা। অথচ বাজারে এখন যেসব আটা রয়েছে সেগুলো আগের আটা। যেগুলোর দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত আটার দামও বেড়েছে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা। কারওয়ান বাজারের খুচরো ব্যবসায়ী মোসলেম মিয়া বলেন, এত দিন স্বাদ, ফ্রেশ, তীরসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুই কেজি আটার প্যাকেট ৯০ থেকে ৯৪ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু গতকাল (বৃহস্পতিবার) কোম্পানির প্রতিনিধিরা ৯৬ থেকে ৯৮ টাকা নতুন রেটের প্যাকেট দিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে তীর কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি সালেহ আহমেদ বলেন, বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং ভারত থেকে গম আমদানি বন্ধ বিধায় কোম্পানি নতুন রেটের প্রোডাক্ট বাজারে ছেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *