চাঁদপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ নভেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে বিগত মাসের সিদ্ধান্তসমূহ এবং অগ্রগতিসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ার। সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার), চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, শিক্ষামন্ত্রী ও স্থানীয় এমপির প্রতিনিধি অ্যাডঃ সাইফুদ্দিন বাবু, শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র আব্দুল লতিফ, কচুয়া পৌরসভার মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, জেলা নির্বাচন অফিসার তোফায়েল হোসেন, পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ঈসা রুহুরুল্লাহ, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা প্রমুখ। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে সদ্য যোগদানকারী বিসিএস ক্যাডারের ৮জন সদস্য তাদের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ হিসেবে ডিস্ট্রিক্ট মিটিংয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্যে এ সভায় অংশ নেন।
উন্মুক্ত আলোচনায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন, বিভিন্ন রাস্তার সমস্যা, মেলা চালু, শহরের যানজট নিরসন, কিশোর গ্যাং অপরাধ, কুয়াশার রাতে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম সহনীয় পর্যায় রাখতে বাজার মনিটরিং, পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে হয়রানি, অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে মোবাইকোর্ট পরিচালনাসহ অন্যান্য নানা বিষয়ের উপর আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ তাঁর বক্তব্যে বলেন, শহরে যানজটের মাত্রা বেড়ে গেছে। রাত ৮টার পর থেকে পরের দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত শহরে ট্রাক ঢুকবে। দিনের বেলায় শহরে কোনো ট্রাক ঢুকতে পারবে না। এ বিষয়ে পূর্বের সভায় যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, সে সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। রেজিস্ট্রেশনবিহীন অবৈধ সিএনজির বিরুদ্ধে বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। যাত্রীবাহী নৌযান ও যানবাহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে কিনা তা দেখা হবে এবং মোবাইল কোর্ট চলবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম সহনীয় পর্যায় রাখার জন্যে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, শীতের মৌসুমে ইটভাটা চালু হচ্ছে। এ জেলায় শতাধিক ইটভাটা অবৈধভাবে আছে। এই অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি ইটভাটায় অভিযান চালানোর অনুরোধ করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর না পারলে জেলা প্রশাসনের সাপোর্ট নিয়ে সেগুলো বন্ধ করা হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, যেসব ইটভাটা অবৈধভাবে চলছে তাতে আমাদের পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এবং মাটির ক্ষতি হচ্ছে। এতো ইটভাটা এ এলাকার জন্য প্রয়োজন আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
স্টাফ রিপোটার