জন্মদিনে নিপুণকে বড় সারপ্রাইজ দিলেন কে

ফেসবুকে যখন সহশিল্পী, ভক্ত-অনুরাগীরা জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন, তখন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার উলুখোলার গ্রামীণ জনপদে সহশিল্পী ফেরদৌসের সঙ্গে শুটিংয়ে ব্যস্ত। আজ ঢাকাই ছবির এই নায়িকার জন্মদিন। কিন্তু দিনটি উদ্‌যাপন করা হচ্ছে অন্যভাবে। দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘সুজন মাঝি’ ছবির শুটিংয়ে সময় পার করছেন তিনি।

নিপুণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানালেন শুটিংয়ের কারণে সময় হয়নি, তাই এখনো জন্মদিনের কেকও কাটা হয়নি। বলেন, ‘শুটিং থেকে গতকাল রাত ১২টার পর বাসায় ফিরেছি। আবার সকালে উঠেই শুটিংয়ে চলে এসেছি। কেক কাটার সময়ই পাইনি। আশা করছি, আজ রাত নয়টার মধ্যেই শুটিং শেষ হবে। বাসায় ফিরে কেক কাটব। তবে আমি প্রত্যাশা করি বেশি বেশি সিনেমা তৈরি হোক, আমার মতো সব শিল্পীই এভাবে সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত থাকুক।’

কেক কাটতে না পারলেও এই বিশেষ দিনে নিজ হাতে রান্না করে শুটিং ইউনিটের জন্য কাচ্চি বিরিয়ানি নিয়ে গেছেন নিপুণ। বলেন, ‘দেখলাম আমার জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন আজ। সিনেমার মানুষদের সঙ্গে একটু অন্যভাবে সেলিব্রেট করি। কিন্তু এখানে এসে নিজেই সারপ্রাইজড হলাম। আমার জন্মদিনের জন্য শুটিংয়ে বিশেষভাবে খিচুড়ি রান্না করা হয়েছে।’

নিপুণ এবারের জন্মদিনে সবচেয়ে বেশি সারপ্রাইজড হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাঁর মেয়ে তানিশা হোসেনের আগমনে। বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেয়ের আসার কথা ১০ জুন। হঠাৎ সকালে মেয়ের ফোন। বলে কী, মা দ্রুত এয়ারপোর্টে গাড়ি নিয়ে চলে আসো। শুনে আমি তো অবাক। কারণ, আমি নিজেই ১০ তারিখের টিকিট কেটে দিয়ে ছিলাম। কিন্তু ও আমাকে সারপ্রাইজ দিতে নিজে নিজে টিকিট পরিবর্তন করে এই কাজটি করেছে। জন্মদিনে আমার বড় সারপ্রাইজ আমার মেয়ে।’

জন্মদিনে মেয়ে তানিশা তাঁর মা নিপুণের জন্য আমেরিকা থেকে ভিনটেজ টি-সেট উপহার এনেছেন। নিপুণ বলেন, ‘আমি দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে গেলে পুরোনো দিনের জিনিস সংগ্রহ করি। ও এই বিষয়টি লক্ষ করেই এই উপহার এনেছে। বোন অনলাইনে অর্ডার করে লন্ডন থেকে কেক ও ফুল পাঠিয়েছেন। সকালেই তা পেয়েছি।’
এ সবের বাইরে এবারের জন্মদিনটি নিপুণের কাছে অন্য রকমের। অন্যবারের চেয়ে বেশি রঙিন করেছে দিনটি। চলচ্চিত্রের সহশিল্পী, সহকর্মীদের কাছে থেকে যে পরিমাণ শুভেচ্ছা ভালোবাসা পেয়েছেন, আগে এমনটি হয়নি কখনো।

নিপুণ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছোট পর্দা, বড় পর্দার শিল্পী,টেকনিশিয়ানরা এবং ভক্ত-অনুরাগীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছি, পাচ্ছি, মনে ভরে গেছে আমার।’

এবার এর কারণও আছে বলে মনে করেন নিপুণ। বলেন, ‘বেশ আগে থেকেই আমি চলচ্চিত্রের মানুষদের জন্য কাজ করে আসছি। তা ছাড়া গত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে নানা ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে আমি সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পেরেছি। যেটি চলচ্চিত্রের মানুষজন, দেশের নানা শ্রেণির মানুষ ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। এ কারণে হয়তো আমি সবার কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছি।’

কিন্তু নির্বাচনের আগে-পরেও কোনো কোনো সহশিল্পী আপনাকে নিয়ে বিদ্রূপ করে ফেসবুক, গণমাধ্যমে নানা মন্তব্য করেছেন। তাঁদের কেউ কেউ জন্মদিনে ফেসবুকে আপনাকে শুভেচ্ছাবার্তা লিখেছেন। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে? জানতে চাইলে ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা বলেন, ‘দেখুন, আমি সব সময়ই একজন পজিটিভ মানুষ হিসেবে থাকতে চাই। পজিটিভ চিন্তাভাবনা করতে চাই। এসব মানুষ যে আমাকে আজ উইশ করছেন, এটাই আমার সফলতা।’

 জন্মদিনে-নিপুণকে-বড়-সারপ্রাইজ-দিলেন-কে

নিপুণের ইচ্ছা ছিল সব শিল্পী, কলাকুশলীদের নিয়ে বিএফডিসিতে গিয়ে ধুমধাম করে জন্মদিনটা পালন করবেন। কিন্তু হলো না। বলেন, ‘বহু ফোন কল পেয়েছি। সহশিল্পীরা চাচ্ছিলেন আজকের দিনে বিএফডিসিতে উপস্থিত থাকি আমি । আমারও খুব ইচ্ছা ছিল সেখানে গিয়ে সবাই মিলে আনন্দ করে দিনটি পালন করব। কিন্তু শুটিংয়ের কারণে সম্ভব হলো না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *