হাজীগঞ্জে ১১ ইউপিতে ৭টিতে নৌকা, ৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী

আজ ২৬ ডিসেম্বর রবিবার সকাল থেকে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

হাজীগঞ্জে ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীদের সাথে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বিএনপিমনা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সৃত্রে জানা যায়, ১ নম্বর রাজারগাঁও ইউপিতে নৌকার প্রার্থী আ. হাদী মিয়া বিজয়ী, তার সাথে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রফিকুল ইসলামের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

২ নম্বর বাকিলা ইউপিতে বিএনপির স্বতন্ত্র মিজানুর রহমান বিজয়ী, তার সাথে নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান লিটন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

৩ নম্বর কালচোঁ উত্তর ইউপিতে নৌকার প্রার্থী মানিক হোসেন প্রধানীয়া বিজয়ী, তার সাথে হাতপাখা ছাড়া মূল কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল না।

৪ নম্বর কালচোঁ দক্ষিণে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা স্বপন বিজয়ী, তার সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন মিকন।

৫ নম্বর হাজীগঞ্জ সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন বিজয়ী, তার সাথে নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব সফিকুর রহমান মীরের সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ৬ নম্বর বড়কূল পূর্ব ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মজিবুর রহমান বিজয়ী, তার সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় নৌকার প্রার্থী আহসান হাবীব।

৭ নম্বর বড়কূল পশ্চিম ইউপিতে নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী বিজয়ী, তার সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী হেলাল মিজি।

৮ নম্বর হাটিলা পূর্ব ইউপিতে নৌকার প্রার্থী মোস্তফা কামাল বিজয়ী, তার সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সোহরাব হোসেন।

৯ নম্বর গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউপিতে নৌকার প্রার্থী কাজী নুরুর রহমান বেলাল বিজয়ী, তার সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম।

১০ নম্বর গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ নৌকার প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন বাচ্চু বিজয়ী, তার সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় বিএনপির নাসির হোসেন।

১১ নম্বর হাটিলা পশ্চিম ইউপিতে নৌকার প্রার্থী মজিবুর রহমান বিজয়ী, তার সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় বিএনপির স্বতন্ত্র ইমাম হোসেন লিটন।

হাজীগঞ্জের ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লক্ষ ২৪ হাজার। ৯৯ টি ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে নারী পুরুষের জন্য একাধিক বুথের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহন শুরু হয়। প্রতিটা ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ব্যাপক। নারী পুরুষের পাশাপাশি নতুন ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোঁখে পড়ার মত। গত ২০ বছরেও এমন শান্তিপূর্ণ অবাদ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি বলে ভোটার ও সকল প্রার্থীদের দাবি।

হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *