ভাদ্রমাস এলেই মনে পড়ে তালের কথা। আর তালের কথা মনে হলে অজান্তেই তাল পিঠা খাওয়ার জন্য মন আকুলি-বিকুলি করে ওঠে। অসাধারণ এই তাল পিঠা। বারমাসে তেরো পার্বণের বাংলাদেশে সব সময়ই পাওয়া যায় বিভিন্ন ফল। ভাদ্রমাসের ফল তাল একটি সুস্বাদু ও লোভনীয় ফল । কথায় বলে ভাদ্র মাসে তাল পাকা গরম পড়ে। আর পাকা তালের মৌ মৌ গন্ধে ভরে যায় চারিদিক।
ফরিদগঞ্জে পাকা তালের কদর ব্যাপক। বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে পাকা তাল। তালের ফল ও বীজ দুটোই বাঙালীর খাদ্য। ভাদ্র মাসের তাল না খেলে কালে ছাড়ে না বলে’ বাঙালি সমাজে প্রবাদও রয়েছে। তবে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এখন ভাদ্র মাসের পূর্বেই বাজারে পাকা তাল উঠতে দেখা যায়। এ বছর শ্রাবণের প্রথম দিক থেকেই বাজারে পাকা তাল উঠতে শুরু করেছে।
গ্রামের গাছে গাছে এখন পাকা তাল। গাছ থেকে নিজে নিজেই মাটিতে পড়ে পাকা তাল। এই গাছ ৬০থেকে ১০০ বছর জীবনকাল। আর এই দীর্ঘজীবনের প্রায় পুরোটা সময়ই ফল দেয়। তাল যখন কাঁচা থাকে, তখনো খাওয়া যায়, তখন বাজারে পানি-তাল হিসেবেই বিক্রি হয়। যখন পাকে, তখন সুঘ্রাণ যুক্ত পাকা তাল, ঘনকালো রং ধারণ করে; স্বাদও পাল্টে যায় সম্পূর্ণ। তালের নির্যাস চুলায় জ্বাল দিয়ে নিয়ে ঘন করে খেতে হয়। আবার কাঁচাও খাওয়া যায়। এই তালের রস থেকেই স্বাদের সব পিঠাপুলি তৈরি হয়।
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি