চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদী বিধেীত কৃষিভিত্তিক অঞ্চল। অনাদিকাল থেকেই কৃষিপণ্য উৎপাদনে চাঁদপুরের সু-খ্যতি রয়েছে। মেঘনা-পদ্মা-ডাকাতিয়া ও মেঘনা ধনাগোদা নদী দ্বারা বেষ্টিত এখানকার মাটি ও আবহাওয়া কৃষি উপযোগী । যেখানে সব রকমের কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে।
পাট উৎপাদনেও চাঁদপুর সেরা। ফলে চাঁদপুরে ১৯৬৪ সারের পর ৩টি পাটকল গড়ে উঠে। এগুলো হলো: স্টার আল কায়েদ, ডব্লিউ রহমান ও হামিদিয়া জুট মিল। এ সব মিলে শত শত পাট বোঝাই নৌকার সারি ডাকাতিয়ার তীরে দেখা যেত। সে সুবাধেই চাঁদপুরে ব্যাপকহারে পাট চাষাবাদ হয়ে থাকে ।
চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ২০২০-২১ এ বছর ৪ হাজার ১শ’ ৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার মে.টন। এবার পাটের বাজার মূল্যও সন্তোষজনক। কৃষকগণ মাঠে পাট কাটা শুরু করেছেন।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত কৃষিবিদ আবদুল মান্নান জানান, সরকারিভাবে উৎপাদনকে ‘বেল’ হিসেবে থাকলেও এবারই কৃষি বিভাগ পাটের ওজন সারাদেশে মে.টনে হিসাব করছেন।
তিনি জানান,‘দেশে উন্নত মানের পাট বীজের প্রয়োজন হলেও তা নেই । এতে কৃষকরা প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্থ হন।
তিনি আরো বলেন,‘দেশের উৎপন্ন দ্রব্যের বাজারকরণে প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের নির্দেশ দেয়। চালের দাম বৃদ্ধি কমানোর জন্যে প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার সাময়িকভাবে চালু হওয়ায় পাটের বাজার নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
স্টাফ রিপোর্টার