পাহাড়ি ঢল ও তিস্তা ব্যারেজ খুলে দেয়ায় দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীসহ পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। চলতি মাসের শেষে ভারী বৃষ্টির কারণে অনেক নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে আগামী মাসে বন্যার শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছরের বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনা করে চলতি বছর আগে থেকেই বন্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া দরকার।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানির সমতলভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন চলমান উন্নয়ন প্রকল্প ও করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কিন্তু বর্তমানে এসবের পাশাপাশি চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের প্রতিও দৃষ্টি দেয়া জরুরি।
যেহেতু দেশের ৮০ভাগ নদ-নদীর পানি মেঘনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। তাই প্রতিবছরই জেলার চরাঞ্চল প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলি জমি ও গবাদি পশুর বিচরণ কেন্দ্র। পাশাপাশি ঝুঁকিতে পড়ে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ। তাই এ বছরেও সে ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে বাঁধের আশংকাজনক স্থানগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল